এমনই এক চা বিক্রেতার গল্প অবাক করবে। পাশাপাশি শুধুমাত্র গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে আনন্দ বিনোদনের একমাত্র জায়গায় এটি। চায়ের সঙ্গে টা হিসেবে ফ্রি কথা বলা পুতুল। আর বেশ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন চা প্রেমীরা।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার এক পরিচিত চায়ের দোকান চায়ের আড্ডা, যা অবশ্য গনেশের চায়ের দোকান নামে পরিচিত। এই দোকানে পাওয়া যায় বিভিন্ন ভ্যারাইটির চা। দোকানের মালিক অভিজিৎ মাইতি। করোনার সময় যখন ঘরবন্দি জীবন, ব্যবসা নেই। তখন মোবাইল মেকানিক এর কাজ ছেড়ে বাড়িতে চায়ের দোকান খোলেন। বর্তমানে সেই চায়ের দোকানের পপুলারিটি বেশ। তবে এখন বাড়তি সংযোজন কথা বলা পুতুল। যা পরিবেশন করেন অভিজিৎ নিজেই। বিভিন্ন স্টেজ প্রোগ্রাম এর পাশাপাশি দোকানে চাপ কম থাকলে চা খেতে আসা গ্রাহকদের তিনি এই কথা বলা পুতুল পরিবেশন করেন।
কী এই কথা বলা পুতুল বা ভেন্ট্রিলোকুইস্ট? হাতে একটি পুতুল নিয়ে দুটো চরিত্রে কথা বলতে হয়। একটি মনে হয় যেন পুতুল কথা বলছে। অভিজিৎ অনলাইন মাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও দেখে এবং কলকাতার এক পরিচিত বন্ধুর থেকেই শিখেছেন এই বিশেষ শিল্প প্রদর্শন। ছোট বড় স্টেজ প্রোগ্রাম এর পাশাপাশি তার প্রধান দর্শক চা দোকানে আসা খদ্দেরেরা। সন্ধ্যা হোক কিংবা সকাল তাদের সামনে পরিবেশন করে এই কথা বলা পুতুলের বিষয়। সেই কথা বলা পুতুল বা অভিজিতের বাঁদরের নাম আপদ। দোকানে আসা খদ্দেরদের আপদ চেনে। সবার খোঁজ খবর নেয়। আর তাতেই বেশ আনন্দ পান তারা। কেউ কেউ ভিডিও করেন আবার কেউ চা পান করতে করতে উপভোগ করেন।
শুধু ফ্লেভারের চা খেতে নয়, শীতের সন্ধ্যায় এন্টারটেইনের এক দারুণ জায়গা এই চায়ের আড্ডা। গরম চায়ের সঙ্গে ফ্রি এই বিশেষ বিনোদন। যা করে থাকেন শুধুমাত্র এই চা বিক্রেতা। সন্ধ্যার বেস্ট ঠিকানা গণেশের চায়ের দোকান। সারাদিনের ক্লান্তি মুক্তি দিতে এবং আপদের মজা নিতে ছুটে আসছেন গ্রাহকেরা।
Ranjan Chandra





