দুবরাজপুর ব্লকের এই কৃষ্ণনগর গ্রামের একদিনের এই মেলাকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহ থাকে চরমে। লােহাগ্রাম, যশপুর, পছিয়াড়া, কান্তোড়, সালুঞ্চি-সহ এলাকার ১০-১২টি দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য জমায়েত হয় কৃষ্ণনগর মেলা প্রাঙ্গণে। এই মেলায় মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। শতাব্দী প্রাচীন লাঠি বা সম্প্রীতির মেলা প্রসঙ্গে বিশদে জানান এলাকার প্রবীণ নাগরিক কিরীটিভূষণ রক্ষিত ও যশপুর অঞ্চলের প্রধান শেখ রফিক।
advertisement
আরও পড়ুন : মেঘমুক্ত সন্ধ্যায় জনপ্লাবন, দশমীতেও ঠাকুর দেখার ভিড় বর্ধমানের মণ্ডপে
কিরীটিভূষণ রক্ষিত জানান, "কৃষ্ণনগরের এই লাঠি মেলার উৎপত্তি বর্গী হাঙ্গামার উপদ্রব থেকে বাঁচতেই। ছোট থেকেই আমি এই মেলা দেখে আসছি। এই মেলা শুধু লাঠি মেলা নয়, এই মেলা হল সম্প্রীতির মেলা।"
আরও পড়ুন : বাড়ির সবাই ঠাকুর দেখতে গেছে! এই সুযোগে ভয়াবহ কাণ্ড ঘটালো ডাকাতদল
যশপুর পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান শেখ রফিক জানান, "শতাব্দী প্রাচীন এই মেলায় হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ এসে জড়ো হয়। এখানে সবাই এসে জমজমাট ভাবে মেলা উপভোগ করেন।" প্রত্যেক বছর এই মেলা যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে থাকে শতাব্দীপ্রাচীন এই মেলার।