দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা এই এলাকায় এবার নতুন করে খননকাজ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিল কেন্দ্র সরকার। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ২ কোটি ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের পরিকাঠামগত উন্নয়নমূলক কাজের শিলান্যাসের শুভ সূচনা করলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই বিধায়ক বোধরাই টুডু ও সত্যেন রায়।
advertisement
আরও পড়ুন: শুক্তো, পনির, রসগোল্লা…! মাত্র ১০০ টাকায় ১৩ খাবারের রাজকীয় নিরামিষ থালি! একবার খেলে আর ভুলবেন না
এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বানগড়ের সঙ্গে ইতিহাসের পাশাপাশি ধর্মীয় কিংবদন্তি জড়িয়ে রয়েছে। বানগড়ে আশেপাশের প্রচুর লোকজন অনেক জায়গা দখল করে রয়েছে। রাজ্য সরকারের দায়িত্ব সেই জমি দখলমুক্ত করা। এএসআই রাজ্যকে কতটা জমি আছে বলে দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল জমি রক্ষা করা। তাঁরা সেটা করেনি৷ তবে আপাতত যতটুকু জমি রয়েছে সেটিকে দখল হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে হবে। প্রাচীর করে জায়গা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এরপর ধাপে ধাপে কাজ হবে ৷ নয় দফা দাবি রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে ঐতিহাসিক নিদর্শন সংরক্ষণের জন্য কেন্দ্রের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হবে। আগামীদিনে ভাল পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠবে বানগড়।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গঙ্গারামপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে দ্বাপর যুগের ঐতিহাসিক স্থান বানগড়। এই স্থানকে কেন্দ্র করে জেলায় পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এখানকার জমি দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফে বানগড়কে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বহু বছর আগে এখানে খননকাজ হলেও তা মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এই অঞ্চল অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। কিছু অংশে কৃষিজমি তৈরি হয়েছে এবং কিছু জায়গায় দখল দারিত্বের অভিযোগও উঠেছে। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন সাংসদ। এই খননকাজের মাধ্যমে ঐতিহাসিক নিদর্শন উদ্ধার ও সংরক্ষণ করা গেলে পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কাজ সম্পূর্ণ হলে স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সুস্মিতা গোস্বামী