পুলিশ সূত্রে খবর, লালন শেখ বাথরুমে গিয়ে আত্মহত্য়া করেছেন বলে সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে। ঘটনার সময় দুই তদন্তকারী অফিসার আদালতে গিয়েছিলেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সেই সময় অন্য়ান্য় আধিকারিক এবং সিআরপিএফ জওয়ানরা কী করছিলেন, সেই সমস্ত প্রশ্নও উঠছে।
বগটুই হত্য়াকাণ্ডের ঘটনায় অন্য়তম মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ। গত ৩ ডিসেন্বর লালনকে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রথমে তাঁকে ৬ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
advertisement
আরও পড়ুন: রামপুরহাট মেডিক্যালে বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের ময়নাতদন্ত, মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী
এর পরে গত ১০ ডিসেম্বর ফের লালনকে দ্বিতীয়বারের জন্য় ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্য়াম্পে রাখা হয়েছিল লালন শেখকে। সেখানে সিআরপিএফ-এর নজরদারিতে রাখা হয় লালনকে।
সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সোমবার সন্ধ্য়ায় শৌচাগারে যাবেন বলে জানান লালন। শৌচাগারের বাইরে পাহারায় ছিলেন এক সিআরপিএফ জওয়ান। বেশ কিছুক্ষণ পর লালন না বেরনোয় তাঁকে ডাকাডাকি শুরু করেন ওই জওয়ান। এর পরে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। লালনের পরিবারের অবশ্য় অভিযোগ, তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: হুকিং-এর ভিডিও করতে গিয়ে বিপাকে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা! ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটল
সিআরপিএফ হেফাজতে থাকা লালন সিআরপিএফ ক্য়াম্প অফিসে থাকাকালীনই কীভাবে শৌচাগারে গিয়ে আত্মহত্য়া করলেন, তা নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সিবিআই-এর অন্দরেও এই প্রশ্ন উঠছে। সত্য়িই লালনের মৃত্য়ুর ঘটনায় কারও গাফিলতি রয়েছে কি না, নিজেদের অভ্য়ন্তরীণ তদন্তে তাও খুঁজে বের করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘটনার সময় সিবিআই ক্য়াম্প অফিসে উপস্থিত সব আধিকারিক এবং সিআরপিএফ জওয়ানদেরও বয়ান নথিভুক্ত করা হবে। রবিবার রাতেই লালন শেখের মৃত্য়ুর ঘটনায় প্রাথমিক রিপোর্ট সিবিআই-এর পক্ষ থেকে দিল্লির সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে।
এ দিন সকালেই সিবিআই-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা রামপুরহাটের ক্য়াম্প অফিসে পৌঁছে তদন্তের কাজ শুরু করেছেন। গতকাল যে সময় লালন শেখের মৃত্যু হয় সেই সময় একজন CRPF ও একজন কনস্টেবল ডিউটি ছিল তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই কর্তারা।
আজই রামপুরহাট মেডিক্য়াল কলেজে লালন শেখের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। ইতিমধ্য়েই হাসপাতালেও পৌঁছেছে সিবিআই-এর একটি দল। পাশাপাশি, লালনের মৃত্য়ুর পর বগটুই গ্রামেও পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।