মুর্শিদাবাদের ডোমকল সহ বিভিন্ন জায়গায় যেমন তার প্রচুর জমিজমা ও কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে, ঠিক তেমনই বোলপুরে রয়েছে তার একটি ফ্ল্যাট। সেই ফ্ল্যাটেই হানা দিল সিবিআই। মনে করা হচ্ছে এখান থেকে বেশ কিছু নথি সিবিআইয়ের হাতে আসতে পারে।
গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সাইগাল হোসেন। কিছু দিন আগে সাইগালের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। এরপর তাঁকে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল। সেখানে জেরার মুখে নিজের প্রচুর সম্পত্তি উৎস বলতে পারেনি সায়গল।
advertisement
আরও পড়ুন: হঠাৎ কলকাতা শহরজুড়ে সিবিআই তল্লাশি! সূত্র লুকিয়ে অসমে, কারণ শুনলে চমকে উঠবেন
প্রসঙ্গত, সিবিআই সূত্রে খবর, বীরভূমকে করিডোর হিসেবে ব্যবহারের সময় সাইগাল মারফত একাধিক প্রভাবশালীর সঙ্গে যোগাযোগ হয় এনামূল হক ও সতীশ কুমারেরপাচারের টাকা থেকেও লাভবান হয়েছে সাইগাল। পাচারের টাকা লগ্নির ক্ষেত্রে সাইগাল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিল বলে দাবি সিবিআই-এর। সাইগাল নিজের প্রভাব খাটিয়ে পাচারকারীদের সাহায্য করেছিল বলে অভিযোগ। সাইগালের আয় ব্যয়ের হিসেবে বিস্তর ফারাক বলে জানা যাচ্ছে সিবিআই সূত্রে।
আরও পড়ুন: বালিশ চাপা দিয়ে ঘুমন্ত দাদাকে খুন করে ভোরেবলা থানায় হাজির ভাই! বাঁশদ্রোণীতে চাঞ্চল্য
এদিকে, গত সপ্তাহেই ফের বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) তলব করেছিল সিবিআই। কড়া নির্দেশ ছিল, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সামনে হাজির হতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। যদিও আগে সিবিআই-এর দফতরে গেলেও তারপর ফের অসুস্থ বোধ করায় সিবিআই-এর কাছে ১৫ দিন সময় চেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অগত্যা ওইদিন সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন অনুব্রত মণ্ডল।