এর আগে রতনপল্লীতে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ক্রমে বাড়তে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সিআরপিএফ জওযানদের সংখ্যা। বুধবার রাতের পর বৃহস্পতিবার সকালেও সেখানে নতুন করে সিআরপিএফ জওয়ানরা আসেন। খবর পাওয়া গিয়েছে, নতুন করে আরও চারটি গাড়িতে সিআরপিএফ জওয়ানরা এসেছেন রতনপল্লীর ওই বাড়িতে। শোনা গিয়েছে, দুর্গাপুরের ক্যাম্প অফিস থেকে সকাল থেকেই বিপুল পরিমাণে ফোর্স ঢোকে রতনপল্লীর বাড়িতে। পাশাপাশি, সকালে দুটি গাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরাও আসেন এই ঘাঁটিতে। ইতিমধ্যে প্রায় ১৮-১৯ গাড়ি ফোর্স রতনপল্লীর অতিথি নিবাসে প্রবেশ করেছে বলে খবর।
advertisement
তাঁকে ১০ বার নোটিশ পাঠিয়েছে সিবিআই। তার মধ্যে মাত্র এক বার হাজিরা দিয়েছেন তিনি। বুধবারও তাঁর ডাক পড়েছিল সিবিআই-এর দফতরে। কিন্তু তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে ১৪ দিন সময় চেয়ে নেন বলে খবর। গত সোমবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে নিজাম প্যালেসে তলব করেছিল সিবিআই৷ কিন্তু হাজিরা না দিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছে যান অনুব্রত৷ যদিও হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি৷ ওই দিন বিকেলেই তিনি বোলপুরের বাড়িতে ফিরে যান৷
এরই মধ্যে মঙ্গলবার অনুব্রতকে দেখতে তাঁর বাড়িতে যান বোলপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী৷ তিনি অবশ্য পরে দাবি করেন, জোর করে তাঁকে দিয়ে সাদা কাগজে বেড রেস্টের কথা লিখিয়ে নেন অনুব্রত৷ এর পরেই অনুব্রতর অসুস্থতা নিয়ে বিতর্ক আরও বেড়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে অনুব্রত চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ ভারতে যেতে পারেন, এমন সম্ভাবনার কথাও এ দিন ছড়িয়ে পড়ে৷ তার মধ্যেই বোলপুরে পৌঁছয় সিবিআই-এর বিরাট দল৷
আরও পড়ুন: অনুব্রতর বাড়িতে কার নির্দেশে সরকারি চিকিৎসক? এবার কড়া পদক্ষেপ স্বাস্থ্য দফতরের
আরও পড়ুন: 'এসএসকেএম থেকে এমএস করেছি, বলতে লজ্জা লাগে!' পার্থর গ্রেফতারির পর ফেসবুকে লেখেন চন্দ্রনাথ
বুধবার রাত থেকেই শুরু হয় তৎপরতা। অনুব্রতকে কি বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সিবিআই আধিকারিকরা, সেই নিয়ে শুরু হয় বিস্তর আলোচনা। ঘটনাক্রম সেই সম্ভাবনার দিকে জোরাল ইঙ্গিত করে যখন শোনা যায়, রাতেই বোলপুর পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। তার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফের চলে আয়োজন।