এ বছরের শুরুতেই অনুব্রত মণ্ডলের এক কোটি টাকা লটারি জয়ের খবর সামনে আসে৷ গরু পাচার মামলার তদন্তে অনুব্রতকে গ্রেফতার করার পর এবার অনুব্রতর লটারি জয়ের বিষয়টি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছে সিবিআই৷ সেই সূত্রেই গত বুধবার বাপি গঙ্গোপাধ্যায় নামে বোলপুরের এক লটারির ব্যবসায়ীকে কলকাতায় তলব করে সিবিআই৷
আরও পড়ুন: বাংলা ভাগ সময়ের অপেক্ষা! নিশীথের সঙ্গে বৈঠক করে বিরাট দাবি অনন্ত মহারাজের
advertisement
সূত্রের খবর, ওই লটারি ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বীরভূমের আরও কয়েকটি লটারি এজেন্সি এবং বিক্রেতার খোঁজ পায় সিবিআই৷ তার মধ্যে রাহুল লটারি নামে একটি এজেন্সিরও খোঁজ মিলেছে৷ বৃহস্পতিবার বোলপুরের ওই লটারি এজেন্সির দোকানেও যান সিবিআই কর্তারা৷
আরও পড়ুন: চোখ কেন ঢাকা? ভিড়ের মধ্যেও ছোট্ট মেয়েকে দেখেই এগিয়ে গেলেন অভিষেক, মিলল চিকিৎসার আশ্বাস
সিবিআই সূত্রে খবর, বোলপুরের রাহুল লটারি নামে একটি ডিস্ট্রিবিউটর সংস্থার মাধ্যমে ওই টিকিট প্রথমে বিক্রি করা হয় নাকি লটারি নামে অন্য একটি এজেন্সিকে৷ সেই টিকিট আবার যায় মুন্না শেখ নামে বীরভূমের নাহিনা গ্রামের এক লটারি বিক্রেতার কাছে৷ এদের সবাইকেই শুক্রবার বোলপুরের ক্যাম্প অফিসে তলব করেছিল সিবিআই৷
সূত্রের খবর, সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, অনুব্রত মণ্ডল যে লটারির টিকিটে এক কোটি টাকা জেতেন বলে দাবি করা হচ্ছে,সেই টিকিট আসলে জিতেছিলেন নাহিনা গ্রামেরই এক বাসিন্দা৷ সম্ভবত তাঁর থেকে ওই টিকিট কিনে নেওয়া হয়৷ কালো টাকা সাদা করতেই কোটি টাকা বাঁধা লটারির টিকিট কিনে নেওয়া হয় বলে মনে করছেন সিবিআই কর্তারা৷ এই ঘটনায় বীরভূমের আরও কয়েকজন তৃণমূল নেতার নামও সিবিআই-এর সামনে উঠে এসেছে৷