অনুব্রত মণ্ডলের লটারিতে কোটি টাকা জেতার তদন্তে নেমেই সুকন্যার লটারি জয়েরও খোঁজ পেয়েছিল সিবিআই৷ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে অনুব্রত মণ্ডল লটারিতে ১ কোটি টাকা জেতেন বলে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়৷ তদন্তে নেমে সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পারেন, এই ১ কোটি ছাড়াও ২০১৯ সালে লটারিতে ১০ লক্ষ টাকা জিতেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি৷
advertisement
আরও পড়ুন: 'দোষী হলে শাস্তি পাবে', পার্থকে নিয়ে সরাসরি বললেন মমতা! পাল্টা দিলেন চ্যালেঞ্জও
অনুব্রতর ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখেই এই তথ্য হাতে পান সিবিআই আধিকারিকরা৷ একই ভাবে, সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য থেকে জানা যায়, তিনিও দু' বার লটারিতে যথাক্রমে ২৬ লক্ষ এবং ২৫ লক্ষ টাকা জিতেছিলেন৷
সিবিআই সূত্রে খবর, ওই দু' বার ছাড়াও ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সুকন্যা মণ্ডলের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লটারি জয় বাবদ ৫০ লক্ষ টাকা জিতেছিলেন৷ বার বার অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ে কীভাবে লটারিতে বিপুল অঙ্কের টাকা জিতলেন,সেই রহস্যেরই কিনারা করতে চাইছেন সিবিআই কর্তারা৷ যে টিকিটে অনুব্রত লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন, তিনি আদৌ সেই টিকিট কাটেননি বলেই সিবিআই সূত্রে খবর৷
আরও পড়ুন: 'কখন, কোথায় টপকে যাবেন,বুঝতে পারবেন না!' নন্দকুমার মডেল নিয়ে হুঁশিয়ারি মদনের
লটারি জয়ের নামে অনুব্রত আসলে গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করেছেন, এমনই সন্দেহ ছিল সিবিআই আধিকারিকদের৷ অনুব্রত এবং তাঁর কন্যার একাধিকবার লটারি জয়ের তথ্য হাতে আসার পর সিবিআই কর্তাদের সেই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়েছে৷
গরু পাচারের তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করার পর সম্প্রতি অনুব্রতর লটারি জয় নিয়েও খোঁজ খবর করতে শুরু করে সিবিআই৷ সেই তদন্তেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে৷ লটারির টিকিটের নম্বরের সূত্র ধরে বীরভূমের একাধিক লটারির টিকিট বিক্রেতার খোঁজ পায় সিবিআই৷ যে লটারি বিক্রেতা ওই টিকিটটি বিক্রি করেছিলেন, তাঁকেও ডেকে পাঠায় সিবিআই৷ কিন্তু তিনি জানিয়ে দেন, ওই টিকিট আদৌ তিনি অনুব্রত মণ্ডলকে বিক্রি করেননি৷