ফুলকপি চাষি নুরুল ইসলাম শেখ বলেছেন, “আমাদের প্রচুর লোকসান হবে। বিঘা প্রতি চাষ করতে খরচ হয়েছে ২০/২২ হাজার টাকা । কিন্তু বিক্রি করে সেই টাকাও উঠবে না। বাজারে ফুলকপি এনেছিলাম সব বিক্রিও হয়নি।” পূর্ব বর্ধমান জেলার সবজি ভাণ্ডার বলা হয় পূর্বস্থলী ২ ব্লককে। বিঘার পর বিঘা জমিতে সারাবছরই সবজি চাষ করে থাকেন এলাকার চাষিরা৷ এই এলাকায় পাঁচটি বড় পাইকারি সবজি বাজারও রয়েছে। এরমধ্যে সব থেকে বড় পাইকারি বাজার হল কালেখাতলায়। এছাড়া পারুলিয়া, ফলেয়া, জামালপুর মোড়, বিশ্বরম্ভাতেও পাইকারি সবজি বাজার রয়েছে। প্রত্যেক দিন প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকার সবজি সবই বিক্রি হয় এই বাজার গুলি থেকে।
advertisement
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার সবজি ব্যবসায়ীরা পূর্বস্থলীর আড়ত থেকে সবজি ক্রয় করে থাকেন। সারা বছর বিভিন্ন রকম শাকসবজি আমদানি হয়। ফলনও বেশ ভালই হয়। তবে প্রতি বছর শীতের মরশুমে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ফুলকপির দাম কমে যায়৷ তখন এক টাকাতেও পাইকারি ফুলকপি পাওয়া যায়৷ কিন্তু এবার নভেম্বর মাসেই ফুলকপির দাম কমে গিয়েছে৷ এই বিষয়ে আড়তদার নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ বলেন, “ফুলকপি কেনার লোক নেই। প্রচুর আমদানি হয়েছে বাজারে। কয়েকদিন আগেও চাষিরা ভাল দাম পেয়েছন। কিন্তু এখন এত আমদানি কেনার লোক নেই।”
চলতি বছর ধাপে ধাপে বৃষ্টি হওয়ার কারণে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর বিশ্বরম্ভা-সহ বিভিন্ন এলাকার ফুলকপির জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল৷ এর ফলে স্বভাবতই দাম বাড়ার আশঙ্কা ছিল৷ কিন্তু আচমকা দাম কমে যাওয়ায় চাষের খরচ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা৷ চাষিদের কথায় এভাবে দাম নেমে গেলে চাষের খরচটুকু উঠবে না৷ সবমিলিয়ে বর্তমানে চরম চিন্তায় রয়েছেন ফুলকপি চাষিরা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী