পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , গ্রামে সত্যবাবুর মুদিখানার দোকান রয়েছে। বুধবার সন্ধে বেলায় স্থানীয় বাসিন্দা সুশান্ত মাঝি দোকানে আটা বিক্রি করতে আসেন। আটা ক্রয় বিক্রয় নিয়ে বচসা শুরু হয়। বাদানুবাদ চরমে ওঠে। সেই সময় সুশান্ত মাঝি বাঁশ নিয়ে সূর্য বাবুর ওপর চড়াও হয়ে বাঁশ দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ।মারধরের জেরে সূর্যনারায়ণ মণ্ডল রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর জখম অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশ সুশান্ত মাঝিকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: দিদির নামে সম্পত্তি লিখে দিয়েছিল বাবা! রেগে দু’জনকেই চরম শিক্ষা দিল ভাই, জানুন ঘটনাটি…
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, গ্রামে এমনটা যে হতে পারে তা আমরা কেউ ভাবতে পারিনি। এমনিতেই একটানা বৃষ্টি চলায় বাসিন্দারা সেভাবে রাস্তাঘাটে বের হননি। সবাই ঘরেই ছিলেন। সূর্যবাবুর দোকানেও তেমন ভিড় ছিল না। তার মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে গেল। দোকানে অন্য লোকজন থাকলে তারা হয়তো বিবাদ মেটাতে এগিয়ে আসতে পারতেন। ব্যাপারটা খুনের পর্যায়ে যেত না। গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুশান্ত মাঝি রেশনের আটা সংগ্রহ করে তা মুদিখানা দোকানে বিক্রি করতো। সেই আটা বিক্রি করতেই সে বুধবার সন্ধ্যায় সূর্য নারায়ণ মণ্ডলে দোকানে যায়। সেখানে আটার কেজি প্রতি দাম নিয়ে কথাবার্তা থেকে বচসার সূত্রপাত ঘটে। সুশান্ত যে দাম চেয়েছিল সেই দামে আটা কিনতে চাননি দোকানের মালিক সূর্যনারায়ণ বাবু। বচসা চরম মাত্রায় পৌঁছলে সুশান্ত বাঁশ দিয়ে আঘাত করে। তাতেই গুরুতর জখম হন সূর্যনারায়ণ।