ফল চাষের ক্ষেত্রে তাঁর এই অসামান্য সাফল্যের জন্য জানিক বাউরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ‘কৃষক রত্ন’ পুরস্কার পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, ব্লক থেকে জেলাস্তর পর্যন্ত একাধিক সম্মান ও পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন তিনি।
advertisement
প্রায় পনেরো বছর আগে জানিক বাউরির এই ফল চাষের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ধীরে ধীরে সেই ছোট্ট চাষ আজ একটি পূর্ণাঙ্গ ফলের বাগানে পরিণত হয়েছে। ফল চাষে তাঁর অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তিনি রাজ্য সরকারের ‘কৃষক রত্ন’ পুরস্কার পেয়েছেন।
ফলচাষি জানিক বাউরি জানান, উদ্যানপালন দফতরের সহযোগিতায় তিনি সরকারি ব্যবস্থাপনায় ফল বাজারজাত করেন। এর মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রায় এক লক্ষ টাকার কাছাকাছি উপার্জন হয়। তাঁর বাগানের ফল কলকাতা, বীরভূম, বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। তবে লকডাউনের পর থেকে ব্যবসায় কিছুটা ভাটা পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগের মতো বৃহৎ পরিসরে এখন ফল বাজারজাত করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে খুচরো বাজারেই বেশিরভাগ ফল বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে উপার্জনও আগের তুলনায় কমে গিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবু সব বাধা পেরিয়ে জানিক বাউরি আজ পুরুলিয়ার কৃষি উদ্যোগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যেখানে একাগ্রতা, পরিশ্রম ও স্বপ্ন মিলেমিশে ফলিয়েছে সাফল্যের সোনালী ফসল।