সোমবার বিকেলে হুগলি জেলা শাসকের কার্যালয়ে হয় এক বৈঠক, সেই বৈঠকের শেষে সিদ্ধান্ত জানান বাস মালিক সংগঠন। এই দিন বৈঠকে ছিলেন হুগলির অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) অমিতেন্দু পাল, আরটিও, বাস মালিকদের সংগঠন। বাস রুটে অবৈধভাবে চলা টোটো বন্ধ করতে হবে বলে দাবী ছিল বাস মালিকদের।
টোটো বন্ধ করে টোটো চালকদের রুটি রুজি বন্ধ না করে তাদের একটা নিয়মে বাঁধার কথা ভাবুক প্রশাসন, দাবি ছিল এমনই। যেখানে টোটো বাসের যাত্রী নিয়ে ছুটছে, সেখানে তাদের নিয়ন্ত্রণ করুক। বাস সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে সব নিয়ম মেনে রাস্তায় চলে, টোটোর ক্ষেত্রে সেসব বালাই নেই। টোটোয় দুর্ঘটনা হলেও যাত্রীরা ক্ষতিপূর পায় না। তাই বড় রাস্তায় যেখানে বাস চলে, সেখানে টোটো যাতে না চলে তার ব্যবস্থা করার দাবী জানানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- রাতের অন্ধকারে চলে কাজ, সকালে হাত দিতেই সে-কি কাণ্ড! রাস্তার কাজ দেখে অবাক বাসিন্দারা
দশ দিন সময় নিয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সমস্যা না মিটলে দশ দিন পর আবার ধর্মঘট হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বাস মালিকরা। তার পর থেকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই আবারও স্বাভাবিক হয়েছে বাস চলাচল। হুগলির শ্রীরামপুর, তারকেশ্বর, আরামবাগ-সহ বিভিন্ন রুটে প্রতিদিনের মতো শুরু হয়েছে বাসের যাতায়াত। এই দশ দিন প্রশাসনের কাজের দিকে নজর রাখবে বাস মালিক সংগঠন। যদি অবস্থার উন্নতি না হয়, তা হলে আবারও তারা ধর্মঘটে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
রাহী হালদার