বর্ধমান শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়েছে বাঁকা নদী। অস্তিত্বের সংকটে বর্ধমানের এই লাইফ লাইন। প্রতিদিন এই নদীতে মেশে জঞ্জাল, নর্দমার জল। অভিযোগ, হেলদোল নেই পুরসভার। বাসিন্দারা বলছেন, সারাবছর যাতে এই নদীতে জল থাকে তার ব্যবস্থা করা হোক। দু'পাশে লক গেট করে জল ধরে রাখা যেতে পারে। তার আগে নদীর নাব্যতা বাড়ানো জরুরি। সংস্কারের পর বাঁকা নদীতে বোটিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। চালু করা যায় নদী পরিবহণ। হতে পারে মাছ চাষ।
advertisement
আরও পড়ুন: তাপস পালের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা চন্দননগরে
তার বদলে দিনে দুপুরে চুরি হয়ে যাচ্ছে নদী।আগেই নদীর দু'পার দখলদারদের হাতে চলে গিয়েছে।এখন নদীর বুক থেকেই উঠছে অবৈধ নির্মাণ। বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জ, ভাতছালা বীরহাটা, ইছলাবাদ, বিধানপল্লী এলাকায় রমরমিয়ে চলছে বাঁকা দখল। দু'বছর আগেও অনেক জায়গায় বাঁকা নদী ছিল প্রায় একশো ফুট চওড়া। তা এখন কমে অনেক জায়গায় তিরিশ চল্লিশ ফুটে এসে দাঁড়িয়েছে।
গতিপথ বদলে যাওয়ার বাড়ছে ভাঙন। সংকীর্ণ নদী হারিয়েছে জল ধারণ ক্ষমতা।ভারি বৃষ্টি হলেই দু-কুল উপচে বানভাসি হচ্ছে শহরের বেশ কিছু এলাকা। জবরদখল হঠিয়ে নদীকে তার আগের অবস্থায় ফেরানো হোক, এমনটাই চাইছেন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: 'কম দামে ৩০০ গ্রাম সোনা নিলামে বিক্রি আছে', তারপর যা হল, চাঞ্চল্য পূর্ব মেদিনীপুরে
ভোট প্রচারে উঠছে বাঁকা কথা। চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সিপিআইএম নেতা অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বাঁকা সংস্কারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকায় পকেট ভরিয়েছে তৃণমূল। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিজেপি নেতা শ্যামল রায়ের অভিযোগ, সিপিআইএম ও তৃণমূল, দুই দলই কিছু করেনি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে শহরবাসী এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, সিপিআইএম যা হাল করে গিয়েছে তা থেকে বাঁকা নদীকে বাঁচাতে আরও কিছু সময় লাগবে।