সেরকমই নববর্ষের দিনেও তিনি ফুচকা বিক্রি করেছেন। তবে প্রতিবছর নববর্ষের দিন ফুচকাওয়ালা শ্যামল এক বিশেষ কাজ করে থাকেন। ওই দিন সকলকে ফুচকা খাওয়ান বিনামূল্যে। শ্যামল দেবনাথ এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমি দারুণ আনন্দের সঙ্গে কাটাচ্ছি নববর্ষের দিন। টাকার চিন্তা আমি করিনা, সারাবছর পয়সার বিনিময়ে ফুচকা বিক্রি করি। তবে বছরে চারবার আমি বিনামূল্যে সকলকে ফুচকা খাওয়াই। আমি চাই সকলকে আনন্দ দিতে।”
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন“
কাটোয়া শহরের মধ্যে শ্যামলের ফুচকার ভাল কদর রয়েছে। তিনি সপ্তাহে একদিন আনলিমিটেড ফুচকাও বিক্রি করেন। তবে নববর্ষ উপলক্ষ্যে ফুচকা ছিল একেবারে বিনামূল্যে। এছড়াও ছিল অন্যান্য দারুণ দারুণ অফার। শহরের সকলেই জানতেন যে পয়লা বৈশাখের দিন শ্যামল কাকার দোকানে পাওয়া যাবে বিনামূল্যে ফুচকা। স্বভাবতই বিনামূল্যে ফুচকা খাওয়ার আনন্দ নিতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। এক একজন খেয়েছেন পেট ভরে ফুচকা। খাওয়ার পরে অফার অনুযায়ী অনেকে আবার বাড়িতেও নিয়ে গিয়েছেন। ফুচকা খেতে এসে প্রিয়াঙ্কা পাল বলেন, “সারাবছর কিনে খেতে হয়। তবে নববর্ষের দিনে বিনামূল্যে পাচ্ছি এটা বেশ ভাল লাগছে , যেন একটা উপড়ি পাওয়া। আর এখনকার ফুচকার স্বাদ খুব ভাল।”
আরও পড়ুন : গাছ, পাখি আর খড়ের ঘরে গ্রাম্য আমেজ, গরমের ছুটিতে ঘুরে আসুন উজান ইকো হাট
সারাবছর ফুচকা বিক্রির টাকায় সংসার চলে শ্যামল দেবনাথের। ক্রেতারা শ্যামল বাবুর কাছে যেন ভগবান! তাই ক্রেতাদের কথা ভেবে তিনি প্রত্যেকবছর নববর্ষের দিন বিনামূল্যে ফুচকা খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এছড়াও সঙ্গে থাকে আরও বিভিন্ন অফার। নববর্ষে ক্রেতাদের মুখে বিনামূল্যে ফুচকা তুলে দিয়ে আনন্দ দেওয়ার এহেন উদ্যোগ সত্যিই অভিনব।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী





