চাষিরা বলছেন, এবছর এখনও পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি বা তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় আলু গাছ ভাল হয়েছে। ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এখন চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে ঘন কুয়াশা। কুয়াশা হলে ধসার আক্রমণ দেখা দেয়। গত বছর অনেক চাষি এই ধসা রোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। এবার লাভ না হলে পথে বসতে হবে।
advertisement
কৃষি আধিকারিক সুকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, এখনও পর্যন্ত ক্ষতির খবর নেই। তবে ঘন কুয়াশা আলু চাষের পক্ষে ভালো নয়। চাষিরা ব্লকের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর আলু চাষের এলাকা বেড়েছে। কয়েক দিন আগে পর্যন্ত আবহাওয়া চাষের অনুকূল ছিল। কিন্তু কুয়াশার দাপট বাড়তেই চাষিদের চিন্তা বাড়ছে। হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে কুয়াশায় ঢেকেছে গোটা জেলা।
শীত প্রায় উধাও। তাপমাত্রা বেড়েছে অনেকটাই। এতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চাষিদের। রাজ্য শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলায় জামালপুর মাধবডিহি, শক্তিগড় মেমারি পূর্বস্থলী কালনার বিস্তীর্ণ জমিতে এবার আলু চাষ হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, কুয়াশার জেরে আলুর নাবি ধসা রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাই নিয়মিত ওষুধ প্রয়োগ করতে হচ্ছে। এতে চাষের খরচ অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে। তবুও কিছু করার থাকছে না। গাছ বাঁচানোই এখন একমাত্র চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন জমিতে নজরদারি চালাতে হচ্ছে।