এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। দুই ছাত্র গোষ্ঠীর মধ্যে শ্লোগান-পাল্টা শ্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে মেডিক্যাল কলেজ চত্বর। পরিস্থিতি সামাল দিতে মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছয় পুলিশের বিশাল বাহিনী। এদিনই কলেজে ছিল টিচার কাউন্সিলের মিটিং। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি তোলে পড়ুয়াদের একাংশ।
advertisement
তাদের দাবি, মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল থেকে মদ বিক্রি হয়েছে। সে বিষয়ে আমরা অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কলেজের সিদ্ধান্ত জানতে এসেছি। অন্যপক্ষের দাবি, বহিরাগতরা কলেজে এসেছে,তারই প্রতিবাদে আমরা এসেছি।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের হাউসস্টাফ শুভ্রনীল ঘোষের অভিযোগ, ‘‘স্পন্দন অনুষ্ঠানে বয়েজ হস্টেল ৭ নং থেকে অবৈধভাবে মদ বিক্রি করা হয়েছিল। সেই নিয়ে আমরা প্রিন্সিপালের কাছে অভিযোগ জমা দিই। সেই বিষয় নিয়ে কলেজে বৈঠক হচ্ছে। সেই বৈঠকের ফলাফল জানতে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বসে আছি। আমাদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তারই প্রতিবাদে আমরা ধর্নায় বসেছি।’’
অন্যদিকে, অভয়া আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছাত্র প্রহ্লাদ অধিকারীর দাবি, ‘‘কলেজে সুস্থ ও শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে। অসাধু লোকজনদের বের করে দিতে হবে। যারা এখানে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। আমরা চাইছি কলেজে যেন কোনও জঞ্জাল না থাকে। কলেজে এদের ঢুকতে দেব না।’’
সব মিলিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা এখন দুভাগে বিভক্ত। আর জি কর ঘটনার পর বহিরাগত বিষয়টি এই মেডিকেল কলেজে মাথাচাড়া দিয়েছিল। তা নিয়ে দীর্ঘ আন্দোলন হয়। গত কয়েক মাস পরিবেশ কিছুটা শান্ত ছিল। সোমবার ফের পড়ুয়াদের বিক্ষোভে অশান্ত হল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ চত্বর। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করতে হল জেলা পুলিশকে।