রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রাথমিক রিপোর্ট ও সোমবার জমা পরা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (Burdwan Medical College and Hospital) সুপার তাপস কুমার ঘোষের নেতৃত্বে গঠিত ৬ সদস্যের তদন্তকারী দলের রিপোর্ট প্রায়ই একই পথে। দুই কমিটির রিপোর্টই আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনও কারণ জানাতে পারেনি। তবে আগুনের ব্যাপকতার কারণ হিসাবে হাই ফ্লো অক্সিজেন চালু থাকার কারণকেই দেখানো হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রাকের ডালা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ! রবিবার ভোর হতেই পূর্বস্থলীতে ব্যাপক চাঞ্চল্য
আগুন লাগার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে এখন অন্যতম ভরসা ফরেন্সিক টিমের রিপোর্ট। সোমবারই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবাশিস সাহার নেতৃত্বে ২ সদস্যের ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করে ফরেন্সিক টিম। পাশাপাশি জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের আধিকারিকরাও আজ, সোমবার হাসপাতালে গিয়ে সি সি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেন ও ফুটেজ খতিয়ে দেখেন।
আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোর রাতে ঘুমের মধ্যে চিৎকার, কুলপির যুবকের জীবন কীভাবে বদলে গেল?
ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর তাদের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এ ছাড়াও বর্ধমান মেডিক্যালে ৬ সদস্যের গঠিত তদন্ত কমিটির রির্পোটও আজ জমা পড়ে। স্বাস্থ্য দফতরের প্রাথমিক রির্পোটে নিছকই দুর্ঘটনার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি তারা মনে করছেন, হাইফ্লো ন্যাসাল অক্সিজেন চলার সময় হয়তো মাস্ক রিমুভ করে কিছু জ্বালতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে।ঘটনার দিনই বেডের কাছ থেকে একটি লাইটার উদ্ধার হয়। ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটির রির্পোটে একই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
বর্ধমান মেডিক্যালের সুপার তাপস কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, রির্পোট জমা পড়ার পর তা স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে রোগিণী লাইটার জ্বেলেছেন নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে না। সিসি টিভি ফুটেজে দু তিনবার একটা স্ফুলিঙ্গর মতো দেখা গিয়েছে। তবে সেটা কোথা থেকে এসেছে তা তদন্তসাপেক্ষ। পাশাপাশি রোগিণীর পরিবারের তোলা কর্মীদের গাফিলতির অভিযোগ মানতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে একটা বিষয় পরিষ্কার আগুনে দগ্ধ হয়ে কোভিড ওর্য়াডে আগুন লেগে রোগিণীর মৃত্যু হলেও কীভাবে আগুন লাগলো সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, ফরেনসিক রির্পোট আসার পরই এ বিষয়ে পরিষ্কার চিত্র পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগিণীর ফুসফুস প্রিসা্রভ করে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
যদিও গতকালই রোগিণীর পরিবারের তরফে জানানো হয়,লাইটার এলো কোথা থেকে এটাই বড়ো প্রশ্ন। কেননা তারা রোগিণীকে লাইটার দেন নি।তাছাড়া রোগিণী ধূমপান করতেন না এবং যেহেতু রোগিণীর বেডে মশারি টাঙানো ছিলো তাই মসকিউটে কয়েল ধরানোরও প্রয়োজন ছিল না। এমনকি রোগিণী হাত পা নাড়াতেই পারতো না বলে পরিবারের দাবি।