আরও পড়ুন: হনুমানের মৃত্যুতে মাথা ন্যাড়া, পুরোহিত ও নাপিত ডেকে শ্রাদ্ধ
স্বাস্থ্য দফতরের প্রাথমিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টে বলা হয়েছে, এটা নিছকই দুর্ঘটনা। লাইটার জ্বালানোর জন্যই হয়তো আগুন লাগে। হয়তো মহিলা অক্সিজেন মাস্ক খুলে লাইটার জ্বালিয়েছিলেন। তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। সি সি টিভি ফুটেজ ও পারিপার্শ্বিক তথ্যের ভিত্তিতেই এই দুর্ঘটনা বলে ধারনা স্বাস্থ্য দফতরের তদন্তকারী দলের।
advertisement
আরও পড়ুন: ধরতে গিয়েছিলেন কাঁকড়া, আচমকা নৌকায় ঝাঁপ 'তার'! সোজা টেনে নিল জঙ্গলে, তারপর…?
এখানেই প্রশ্ন তুলছেন মৃতা রোগীর আত্মীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, মৃত সন্ধ্যা মন্ডল ধূমপান করতেন না। তাই সঙ্গে লাইটার রাখার প্রশ্ন নেই। রাতে কোভিড ওয়ার্ডে ঢুকে মশারি টাঙিয়ে দিয়ে এসেছিলেন রোগিণীর মেয়ে রানু মন্ডল। তাই মশা মারার ধূপ জ্বালানোর ধারণা ঠিক নয়। রোগিণী নড়াচড়া করার ক্ষমতা হারিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে একটি থলিতে একটি কাপড় ছাড়া কিছুই ছিল না। তাহলে লাইটার কীভাবে এল?
ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, রাতে ডিউটি না করে সবাই ঘুমোয়। একজন রোগী পুড়ে মরে গেল কেউ জানতেই পারল না। বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি, আসল সত্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সিসি টিভির ফুটেজ প্রকাশ্যে আনা হোক। তাহলেই সবার কাছে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, বিজেপি এসব কথা বলে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।