সাম্প্রতিককালে এত মোটা অঙ্কের সোনা উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম বলে দাবি করেছে বিএসএফ। উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানা এলাকার গুনারমাঠ গ্রাম। ইছামতির ওপারে বাংলাদেশ, এপারে ভারত। বৃহস্পতিবার তখন সবে সূর্য ডুবেছে ইছামতির পশ্চিম পারে। হালকা আলো আঁধারির সুযোগ নিয়ে জলপথে ছোট নৌকায় চেপে সোনা পাচারের উদ্যোগ নিয়েছে সাত-আট চোরাচালানকারী। বিএসএফ-এর ১৫৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল, সোনা পাচার হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: রয়েছে মমতার ছোঁয়া, কুমড়োর তরকারি, গুড় দিয়ে জমিয়ে সেই মুড়ি খেল গ্রামের সকলে
হঠাৎ সন্ধ্যা নামার পর ইছামতি নদীতে একটি নৌকা ও তাতে কয়েকটি মাথা দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর। এরপরই অভিযান চালান তাঁরা। বিএসএফ জওয়ানরা লক্ষ করেন জলপথে এপারে ঢুকে পড়েছে নৌকাটি। সেই সময় জওয়ানরা ওই নৌকার কাছে পৌঁছতেই সন্দেহভাজন চোরাকারবারিরা নৌকা থেকে ঝাঁপ দিয়ে বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায় বলে দাবি বিএসএফের। এরপরই ওই নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে ৩২১টি সোনার বিস্কুট, চারটি সোনার বার ও একটি সোনার কয়েন বাজেয়াপ্ত করে বিএসএফ।
আরও পড়ুন: ১০ লক্ষ টাকার বাগান! রাজ্যের মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে পাল্টে গেল জীবন, গল্প চমকপ্রদ
সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া এই সকল সোনা সামগ্রীর বাজার মূল্য ২১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। যা সাম্প্রতিক কালে বড় অঙ্কের সোনা উদ্ধার বলে দাবি বিএসএফের। তবে বিএসএফ কর্তারা আশাবাদী খুব শীঘ্রই এই চোরা কারবারীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে ধরা পড়বে এই চক্রের মাথারাও। যে সোনাগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলি বাংলাদেশের খবরের কাগজে মোড়ানো অবস্থায় ছিল, যা থেকে বিএসএফ কর্তারা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত বাংলাদেশের কোন জায়গা থেকে এই সোনা গুলি পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে এই চক্রের উৎস কোথায় তাও খুঁজে বার করতে চান বিএসএফ কর্তারা।
Amit Sarkar