দিনভর অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে গোবিন্দকাঠি, সাহেবখালি, পারঘুমটে, শামসেরনগর ও স্যান্ডেলের বিল হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেন। মাঠ জুড়ে চলে ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন ও ভলিবল প্রতিযোগিতা। ছাত্রছাত্রীদের উচ্ছ্বাসে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। শুধু খেলাধুলা নয়, দিনভর ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও দেশপ্রেমের সুরে ভরপুর নানা অনুষ্ঠান।
advertisement
৭৭ নং ব্যাটেলিয়নের কমান্ডার অজয় কুমার জানান, “সুন্দরবনের মতো সীমান্তবর্তী অঞ্চলে প্রতিভার কোনও অভাব নেই। আমাদের লক্ষ্য হল, এই প্রতিভাগুলিকে খুঁজে বের করে তাঁদের সঠিক দিশা দেওয়া। খেলাধূলার মাধ্যমে তাঁরা যেমন সুস্থ সমাজের দিকপাল হতে পারবে, তেমনই দেশের প্রতি ভালবাসাও আরও গভীর হবে।”
সুন্দরবনের মতো দুর্গম ও প্রান্তিক এলাকায় বিএসএফ-এর এই ধরনের কর্মসূচি শুধু খেলাধুলার আয়োজন নয়, এটি এক সামাজিক উদ্যোগ, যা সীমান্ত এলাকার তরুণদের মূল স্রোতে আনার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা। এই উদ্যোগে যেমন স্থানীয়দের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সম্পর্ক আরও মজবুত হচ্ছে, তেমনই আগামী দিনে এখানকার ছেলেমেয়েরা নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণাও পাচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গ্রামের প্রবীণরা মনে করছেন, এই ধরনের কর্মসূচি সুন্দরবনের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কারণ শিক্ষা ও খেলাধূলার মাধ্যমে তরুণরা যেমন নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে পারছে, তেমনই গড়ে উঠছে শৃঙ্খলা, আত্মনিবেদন ও দেশপ্রেমের মানসিকতা। শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিএসএফ আধিকারিকেরা। উচ্ছ্বসিত মুখে খেলোয়াড়দের একটাই বার্তা, “এই সুযোগ আমাদের স্বপ্নকে ছুঁতে সাহায্য করবে।”





