TRENDING:

East Medinipur News: ইংরেজরা পুড়িয়ে দিয়েছিল সবটা, দিঘার এই দুর্গাপুজোর ইতিহাস জানলে চমকে উঠবেন আপনি!

Last Updated:

East Medinipur News: ইংরেজরা পুড়িয়ে দিয়েছিল জমিদার বাড়ি, আড়াইশো বছরের দুর্গাপুজো আজও বাঁচিয়ে রেখেছে চন্দনপুর!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রামনগর, পূর্ব মেদিনীপুর, মদন মাইতি: ইতিহাসের পাতায় আজও সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে দিঘার পাশের ছোট্ট গ্রাম চন্দনপুর। এখানকার চৌধুরী পরিবারের দুর্গাপুজো এ বছর পা দিল আড়াইশো বছরে। অথচ এই পুজোকে ঘিরেই রয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলনের রোমহর্ষক কাহিনি। ১৯৪২ সালের আন্দোলনের উত্তাল সময়ে ব্রিটিশরা আগুন ধরিয়ে দেয় রামনগরের চন্দনপুর জমিদার বাড়িতে। ভস্মীভূত হয় প্রাসাদোপম বাড়ি, তবু টলাতে পারেনি দুর্গোৎসবের ঐতিহ্যকে। আজও সেই জমিদার বাড়িতেই চলছে দুর্গাপুজো। আড়াইশো বছর ধরে নির্দিষ্ট নিয়মে গড়া হয় ছয় ফুট উচ্চতার দেবী প্রতিমা।
advertisement

শোনা যায়, একবার প্রতিমার উচ্চতা ছোট করা হয়েছিল। এর কিছুদিন পরেই জমিদার বাড়িতে ঘটে এক অকাল মৃত্যু। পরিবারের সদস্যদের বিশ্বাস, দুর্গাদেবীকে ছোট করে গড়ার কারণেই এই বিপদ নেমে আসে। তারপর থেকে আজও প্রতিমার উচ্চতা অটল রয়েছে ছয় ফুটেই। প্রতিবছর একই কাঠের কাঠামোতে গড়া হয় প্রতিমা, সেই একই পরম্পরা বজায় রেখেই। ব্রিটিশ আমলে চন্দনপুর জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো ছিল অতি জনপ্রিয়। তখনকার দিনে এই বাড়িতেই হত যাত্রাপালা, নাটক আর নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

advertisement

আরও পড়ুন-রাত পোহালেই বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ…! ১০০ বছর পর বিরল কাকতালীয় যোগে কারা হবেন ‘মালামাল’? জানুন আপনার ভাগ্যে কী

দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমাতেন এই উৎসব দেখার জন্য। যদিও সময়ের সঙ্গে বদলেছে অনেক কিছু, হারিয়েছে সেই জৌলুস, কিন্তু হারায়নি পুজোর আবেগ। এখনও স্থানীয় বাসিন্দা থেকে দিঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা ভিড় জমান এই ঐতিহ্যবাহী পুজো দেখতে। আজ জমিদার পরিবারের অনেক সদস্যই রয়েছেন বিদেশে। কিন্তু দুর্গাপুজোর সময় সবাই ছুটে আসেন পৈতৃক ভিটেতে। একসঙ্গে মিলিত হন প্রাচীন বাড়িতে, জেগে ওঠে একতার আবহ। সাবেকি প্রতিমা, পুরনো রীতিনীতি আর পারিবারিক আবেগ মিলে পুজোকে ঘিরে সৃষ্টি হয় এক অনন্য পরিবেশ।

advertisement

আরও পড়ুন-রাত পোহালেই বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ…! ১০০ বছর পর বিরল কাকতালীয় যোগে কারা হবেন ‘মালামাল’? জানুন আপনার ভাগ্যে কী

চন্দনপুরের এই দুর্গাপুজো তাই শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি এক জীবন্ত ইতিহাস। দিঘার সমুদ্রতট থেকে অল্প দূরেই রয়েছে আড়াইশো বছরের এই ঐতিহ্যের আসর। স্বাধীনতা আন্দোলনের আগুনে পোড়া জমিদার বাড়ির ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই আজও দীপ্যমান দুর্গাপুজোর আলো, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে নিয়ে চলেছে বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Medinipur News: ইংরেজরা পুড়িয়ে দিয়েছিল সবটা, দিঘার এই দুর্গাপুজোর ইতিহাস জানলে চমকে উঠবেন আপনি!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল