নিত্যদিনের কাজে যাওয়া থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক, বাজার-হাট ও স্কুল-কলেজ যাতায়াত করে পড়ুয়ারা। এখন সেই শালী নদীর সেতু ভেঙে পড়ায় সমস্যায় পড়েছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে ১৫ থেকে ২০ টি গ্রামের বাসিন্দারা। সেতুর ওই পাড়ে থাকা রাওতোড়া, গরিববাটি, ভৈরবপুর, জগন্নাথপুর, শালডাঙা, গদারডি, হরেকেষ্টপুর সহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষকে ব্যাঙ্ক, পঞ্চায়েত, বাজার, হাসপাতাল ও স্কুল যাওয়ার জন্য এই সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। এছাড়াও বেলিয়াতোড় ও সোনামুখী যাওয়ার জন্য এই সেতুর ওপর দিয়েই পারাপার করতে হয়। কিন্তু সেই সেতুটি ভেঙে পড়ায় কীভাবে যাতায়াত করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না গ্রামবাসীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক রাজবাড়ি দিঘিতে পর্যটকদের জন্য নতুন চমক! জানলে খুশি হবেন আপনিও
বেলিয়াতোড় যেতে হলে এই গ্রামের মানুষকে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার ঘুরপথে যেতে হবে। অতি শীঘ্রই এই সেতুটি পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার খবর ছড়াতেই ওই এলাকা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজন ভিড় জমায় ওই ভগ্ন সেতুটি দেখার জন্য। ঘটনা সামাল দিতে উপস্থিত হয় বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ। এছাড়াও সেতুটি পরিদর্শনে যান বড়জোড়া বিধানসভার বিধায়ক অলক মুখার্জি। তিনি বলেন, সেতুটি নতুনভাবে নির্মাণের জন্য পূর্বেই সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল এবং সেই প্রক্রিয়া অনেকটা এগিয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই নতুন সেতুর কাজ শুরু হত। তারই মধ্যে এই বিপত্তি। সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিধায়ক। তিনি বলেন, সেতুটি দ্রুত নির্মাণ করা হবে।