জেকারুল ইসলাম নামের ওই যুবক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ওই কিশোরীকে বাড়িতে ডাকাডাকি করতে শুরু করে। ওই কিশোরীর কাকা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই যুবকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং আগ্নেয়াস্ত্রটি কেড়ে নেন। তারপরেই চিৎকারে লোকজন জড়ো হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- ফের ভাঙন তৃণমূলে…! ‘পঞ্চায়েতী’ দলবদল তুঙ্গে! যা ঘটল ‘এই’ জেলায় চমকে গেল সবাই
advertisement
ওই যুবককে পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে বেধরক গনধোলাই চলে। সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় তাকে। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় সামশেরগঞ্জ ব্লক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে জেকারুল।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে সমাজমাধ্যমে ওই কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় হয় জেকারুলের। পেশায় বিড়ি শিল্পী। তার চার সন্তানও রয়েছে। কিন্তু সে কথা ওই কিশোরীকে সে জানায়নি।
ওই কিশোরী জানতে পারার পরই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু তা মানতে নারাজ ছিল জেকারুল। এই নিয়ে সামশেরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। থানার পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেওয়ার পর বেশ কিছুদিন চুপ ছিল জেকারুল। কিন্তু আবারও ফোনে হুমকি দিত বলে অভিযোগ পরিবারের।
ওই কিশোরীর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়েকে জেকারুল ফোন করে উত্যক্ত করত। আমি সামশেরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ওকে থানায় ডেকে সতর্ক করেছিল। কিন্তু তারপরেও ও ফোনে আমার মেয়েকে হুমকি দিত। আজ সরাসরি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। গ্রামবাসীরা চিৎকার শুনে ওকে ধরে ফেলে। আমি চাই ওর উপযুক্ত শাস্তি হোক।
আরও পড়ুন- বিরোধীদের মনোনয়ন দাখিলে কোনও বাধা নয়, প্রচার খোদ বিধায়কের!
ওই কিশোরীর কাকা সফিকুল ইসলাম বলেন, আমি দোকান থেকে বাড়ি ঢুকছিলাম। হঠাৎ দেখি বাড়ির সামনে দুজন যুবক বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর একজন বাড়ির ভিতরে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চিৎকার করছে। আমি ছুটে গিয়ে ওর হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটা কেড়ে নিই। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে।
শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে সামশেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ান পৌরসভার ১৬নং ওয়ার্ডের দিঘড়ি গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ এসে একজনকে গ্রেপ্তার করে। দুজন পলাতক। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।