শুধুমাত্র বংশীহারী এবং হরিরামপুর ব্লক বাদ দিয়ে বাকি ছ’টি ব্লক গঙ্গারামপুর, কুশমন্ডি, কুমারগঞ্জ, হিলি, বালুরঘাট এবং তপন ব্লকের সীমানা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত। এই গ্রামগুলির বাসিন্দাদের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বসবাসের কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তার মধ্যে অন্যতম সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর নানা বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয় তাঁদের। কিন্তু তার থেকেও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলির অনুন্নয়নের ছবি।
advertisement
জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি অম্বরিশ সরকার বলেন, “সীমান্ত উন্নয়ন ফান্ড কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়ার ফলে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। নতুন ভাবে ফান্ড না আসলে সীমান্ত এলাকায় কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।”
দক্ষিণ দিনাজপুরের একমাত্র কুমারগঞ্জ এবং গঙ্গারামপুর এর কিছুটা অঞ্চলে সীমান্ত এলাকায় রাস্তাঘাট একটু উন্নত হলেও বাকি সমস্ত অঞ্চলেরই ছবি এক। কোথাও ১২ থেকে ২০ বছর আগে রাস্তা তৈরি হয়েছিল তা আর মেরামত হয়নি। আবার কোথাও বছর তিনেক আগে মেরামত করা হলেও তা ভেঙে শেষ হয়ে গিয়েছে। খাতায়-কলমে ব্যবস্থা হলেও আজও পানীয় জলের জন্য হাহাকার সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলিতে। নল বাহিত জলের ব্যবস্থা হলেও সে জল খাবার উপযুক্ত নয় এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গ্রামে এমন অনেক অঞ্চল রয়েছে যেখানে এখনও রাস্তা তৈরি হয়নি। যার ফলে মাটির রাস্তাতেই যাতায়াত করতে হয় তাদের। সব মিলিয়ে বিগত ১০ বছর ধরে সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নের কোনও কাজই হয়নি বলে গ্রামবাসীদের দাবি।
সুস্মিতা গোস্বামী