থাকেন ওড়িশার সীমান্তবর্তী এলাকায়। গ্রামীণ এলাকায় সে অর্থে প্রচলন ছিল না পড়াশোনার। তবে ছোট থেকেই তাঁর নেশা বই পড়ার। ইচ্ছে বই সংগ্রহের। বইমেলা হোক কিংবা কোনও দোকান, পছন্দ হলেই কিনে আনতেন নানান বই। কোনওটা প্রবন্ধ ধর্মী, কোনওটা আবার গবেষণার বই, রয়েছে ভারতের ইতিহাসের ক্রম বিবর্তনের বইও। সব মিলিয়ে তার সংগ্রহ প্রায় পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। একটা ঘরে আর ধরে না জায়গা।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বৃষ্টি শুরু, চওড়া হাসি চাষিদের মুখে
পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা-ওড়িশা সীমানা সোনাকোনিয়া এলাকার বাসিন্দা অবন্তি জানা। বয়স তাঁর ষাট পেরিয়েছে। তবে মনে প্রানে তিনি এখনও যুবক। পোশাক নয়, বাড়ির আলমারি জুড়ে সাজানো শুধু বই। গল্প, উপন্যাস, নাটক, ইতিহাসের নানা কথন সহ একাধিক বই দেওয়াল আলমারি জুড়ে। না এটা কোন লাইব্রেরির অংশ নয়, এই ব্যক্তির জমানো আস্ত বইয়ের ভাণ্ডার।
বাড়িতেই অবন্তিবাবু একটি নার্সারি স্কুল চালান। তার সামান্য অর্থেই কিনে ফেলছেন পছন্দমত বই। ছোটখাটো চেহারার অবন্তিবাবু অবসর সময়ে নিজেও পড়তে থাকেন বইগুলোকে। বর্তমান প্রজন্ম মুখ ফিরিয়েছে বই থেকে। তবে অবন্তিবাবু চান বইয়ের মধ্যে বেঁচে থাকুক যুবক প্রজন্ম। বিজ্ঞান উন্নতির সঙ্গে সঙ্গেও বইকে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান তার।
রঞ্জন চন্দ