প্রতিদিন আশা হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী মানুষের কথা নয় বাদই দেওয়া হল, ঠিকমতো বসার জায়গা ছিলনা খোদ উকিল বাবুদেরই। ছিল না কোর্ট লকআপে অভিযুক্তদের যথাযথ নিরাপত্তা দিয়ে রাখার, উপযুক্ত বন্দোবস্তও। এজেলাসে সাক্ষ্য গ্রহণের জায়গারও ছিল অভাব।
আরও পড়ুন: গুণের ভাণ্ডার, রোজ খাচ্ছেন দই? সাবধান, কাদের খাওয়া একেবারে বারণ? শরীরের দফারফা হওয়ার আগেই জানুন
advertisement
এমন চিত্রই যেন চেনা হয়ে উঠেছিল বনগাঁ আদালতে। চরম অব্যবস্থার ফলে বিচার প্রার্থীরা, হচ্ছিলেন হয়রানির শিকার। জমে ছিল মামলার পাহাড়। আদালতে এসেও বিচার না পেয়ে ফিরতে হচ্ছিল বহু বিচার প্রার্থীকে। এই পরিস্থিতির বদল ঘটাতেই এবার বনগাঁ আদালতের আধুনিকীকরণে উদ্যোগী হল সরকার।
আদালতে “পেপার লেস” কোর্ট চালু লক্ষ্য নিয়ে তাই শুরু করা হচ্ছে “ই-কোর্ট” I যেখানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেও চলবে বিচার প্রক্রিয়া। পাশাপাশি আদালতের কাজের সুবিধার জন্য একাধিক নতুন কক্ষ নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে “জি প্লাস ফোর” ভবন তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে এই আধুনিকীকরণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা বলে জানা গিয়েছে। তৈরি হবে আরও ৮ টি নতুন কোর্ট I নতুন ভবনে আদালতের কর্মী ও উকিল বাবুদের বসার জন্যও থাকবে ঘর। হবে আসামিদের রাখার জন্য উপযুক্ত কোর্ট লক্ আপ। ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে আধুনিকীকরণের শিলান্যাস।
আরও পড়ুন: মোবাইলের নেশায় আসক্ত বাড়ির খুদে? এই ৫ টিপস্ কাজে লাগান, নিজে থেকেই ফোন দেখা ছেড়ে দেবে সন্তান
যেখানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকও। এছাড়াও ছিলেন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা।
এই আধুনিকীকরণের ফলে আইন পরিষেবা ক্ষেত্রে যেমন মিলবে বিশেষ সুবিধা, তেমনভাবেই দ্রুত সমাধান হবে জমে থাকা মামলার বলেও দাবি করেন বিচারক থেকে আইনজীবীরা। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই তাই ভোল বদলে যাবে সীমান্ত লাগোয়া বনগাঁ আদালতের বলেই মনে করছেন সকলে।
Rudra Narayan Roy