আজও একই কাঠামোতে ৩৫০ বছর ধরে পুজো হয় প্রতিমার। জয়া ও বিজয়াও এখানে পূজিত হন। আষাঢ় মাসে রথের দিন কাঠামোতে মাটি দিয়ে পুজো করা হয়। যদিও কালের নিয়মে রথযাত্রা বন্ধ হলেও আজও রথের দিন সেই উৎসব ও পুজো আর্চনা করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ৫০০ বছরের পুরনো মাটি দিয়ে আজও গড়া হচ্ছে দুর্গা প্রতিমা! রানাঘাটের ঘোষ বাড়ির পুজোয় পঞ্চমীতে বোধন
advertisement
মহালয়ার দিন থেকেই পুজোর সূচনা হয় এখানে। চারদিন মহাধুমধাম করে পুজো পরিচালিত হয়। ষষ্ঠী ও সপ্তমীর দিনে বন্দুক ফায়ার করে ঘট ভর্তি করতে যাওয়া হয়। তবে এবছর তিনদিন দুর্গাপুজোতে মেতে উঠবেন পরিবারের সদস্যরা।
আজও অমলিন ৩৫০ বছরের প্রাচীন বহরমপুর কুঞ্জঘাটা রাজবাড়ির দুর্গাপুজো
পরিবারের পুজো হয় সম্পূর্ণ বৈষ্ণব মতে। বলি বলেও সেটা জীব নয়। মাস কলাই বলি দেওয়া হয়। বীরভূমের আকালিপুর গ্রামে পশু বলি করা হয় গুজ্যকালীর সামনে। বহরমপুরে বৈষ্ণব মতে পুজো হয় এবং বীরভূমের আকালিপুর গ্রামে কালীমূর্তিতে শাত্তমতে পুজো হয়। প্রথা এবং নিয়ম অনুযায়ী আজও একইভাবে পুজো হয়ে আসছে।
কথিত আছে, দশমীর দিন দেবীর বিদায়ের আগে ময়ূরপঙ্খী নৌকা আসত ভাগীরথী নদীতে। মন্দির থেকে ঘারে করে দেবীকে নৌকায় চাপানো হতো। এছাড়াও নীলকন্ঠ পাখি একজোড়া ছাড়া হতো। যদিও এখন নীলকন্ঠ পাখি নেই এবং ময়ূরপঙ্খী নৌকাও নেই। রাজও নেই। নেই রাজত্ব। কিন্তু ঐতিহ্য পরম্পরার মধ্যে দিয়ে দেবীর পুজো হয়ে আসছে এই কুঞ্জঘাটা রাজবাড়িতে।