এদের মধ্যে আরিয়ান ছাড়া বাদ বাকি তিনজন প্রত্যেকেই ওই স্কুলের ছাত্র। ইদানিংকালে স্কুল ছেড়ে দিয়েছে এই যুবক। ওই তিনজনকে বোমা সরবরাহ করেছিল মোহাম্মদ আরিয়ান। পরে পুলিশ আরিয়ানের বাড়ি থেকে আরও দশটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে।
advertisement
ওই স্কুলের এক ছাত্রীর সঙ্গে ত্রিকোণ প্রেমের ঘটনা ঘটে। তার জেরেই দুই গ্রুপের মধ্যে রেষারেষি। ঘটনার দিন স্কুলের পেছনের দিকে কুইক অ্যাপার্টমেন্টের ছাদে উঠে যায় ওই চার যুবক। সেখান থেকে বোমা ছোড়ে স্কুলের চিলেকোঠার দরজার সামনে। পুলিশ ওই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে। তারা শুধুমাত্র ভয় দেখানোর জন্যই এই কাজ করেছিল।
তবে প্রশ্ন উঠছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে যেভাবে দিনের পর দিন বোমা, গুলি, সন্ত্রাস চলছে, তাতে প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: হনুমানের পড়ার শখ, নিয়ম করে রোজ যায় স্কুল, ঝাড়খণ্ডের ঘটনা ভাইরাল
এই চারজন গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন 'পড়াশোনা হচ্ছে না। চাকরি নেই। যার জন্য আজ রাজ্যের এই অবস্থা।' এর উত্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন 'ওই এলাকায় আগে যে পরিমাণে সন্ত্রাস গুন্ডামি হত। এখন তার থেকে অনেকটা কমেছে।' তবে ১৮ বছরের ছেলেরা চাইলেই বোমা বন্দুক হাতে পেয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কিডনির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি টলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী
এই ঘটনার পর টিটাগর অঞ্চলের মানুষ প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলছে। তাঁদের বক্তব্য পুলিশের নজরদারীর অভাব রয়েছে। প্রকাশ্যে তোলাবাজি থেকে আরম্ভ করে 'ভাই'দের দাদাগিরি। সেগুলোর বিরুদ্ধে পুলিশ চুপ।