কাটোয়া শহরের মধ্যেও দেখা মিলেছে একাধিক বোলান দল এবং শিল্পীদের। বাবু দাস নামের এক বোলান শিল্পী বলেন, “আমি আমার ১২ বছর বয়স থেকে বোলান করছি, এখনও করি। সারারাত ঘুরব আর বোলান গান গাইব। এতে আমাদেরও আনন্দ হয় আর যারা দেখেন তারাও আনন্দ পান। সবাই ভালবেসে যা দেয় তাতে আমাদের কিছু উপার্জনও হয়।” বোলান দলেরই একটা অন্য ভাগ হল শ্মশান নাচ। বোলান দলের মধ্যেও সকলে সাজগোজ করে মেকাপ করে থাকেন। পুরুষদের মহিলা সেজে নাচ, গান করতেও দেখা যায়। তবে শ্মশান দলের সাজগোজ, পোশাক থাকে একেবারে ভিন্ন।
advertisement
আরও পড়ুন-ভয়ঙ্কর দুঃসময় আসছে…! দেবগুরু বৃহস্পতির দুরন্ত চালে কাঁপবে ত্রিভুবন! ৬ রাশির জীবন ‘নরক’, চরম আর্থিক সঙ্কট, দুর্ঘটনার বিরাট সম্ভাবনা!
মুখের মধ্যে থাকে লাল-কালো রং, পরণে ভৌতিক পোশাক, মাথায় বড় বড় চুল , গলায় থাকে নরমুন্ডুর মালা। সব মিলিয়ে সকলে মিলে তৈরি করেন একটা ভৌতিক পরিবেশ। শহর-সহ বিভিন্ন গ্রামের একদল মানুষ এই ধরনের সাজ পোশাক পরে গাজনের সময় বেরিয়ে পড়েন বোলান গান গাইতে বা শ্মশান নাচ নাচতে। যেখানে যেখানে শিব মন্দির থাকে এবং গাজন হয় সেইসব জায়গায় গিয়ে সারারাত ধরে বোলান গানের মাধ্যমে আনন্দ দেন বহু মানুষকে।
এই শিল্পীরা গাজনের এক দু’মাস আগে থেকেই গান পরিবেশনের রিহার্সালও দেন নিজেদের মত করে। তারপর গাজনের রাত এলেই বেরিয়ে পড়েন বহু মানুষকে আনন্দ দিতে। বোলান গান, শ্মশান নাচ সঙ্গে ঢাকের বোল সারারাত ধরে উপভোগ করেন বহু মানুষ। এই রাতে শিল্পীদেরও কিছু টাকা উপার্জন হয়। বছর খানেক আগেও গাজনের রাতে প্রচুর বোলান দল দেখা যেত। তবে সেই ছবি বর্তমানে অনেকটাই ফিকে হয়েছে। বর্তমানে কিছু কিছু গ্রামে এবং শহরের কিছু জায়গায় এই পুরনো ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রেখেছেন শিল্পীরা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী