বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের ফিজিক্যাল এডুকেশনের শিক্ষিকা মুন্না পাল বাসুলি এখন বাঁকুড়ার আইকন।
কলেজ জীবন থেকে শুরু হয় এই বডি বিল্ডিং এর অভিযান। বাণীপুর থেকে তিনি B.PED এবং M.PED করেন এবং শুরু হয় শরীরকে মন্দির হিসেবে চর্চার অভিযান। মুন্না পাল বাসুলি জানান, “আমি মনে করি সব মেয়েরই শরীর চর্চা করা উচিত। না করলে বয়সকালে সমস্যা আসলেও আসতে পারে। সব সময় কাজের পর নিজের জন্য একটু সময় বের করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।” শিক্ষিকা মুন্না পাল বাসুলি জানান যে সংসার সামলে এবং শিক্ষকতা করার পর সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ তিনি জিমে যান।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
শিক্ষিকার চরিত্র থেকে বেরিয়ে বডি বিল্ডারের চরিত্রটি অন্যরকম। জন্ম থেকেই একটি মেয়েকে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করতে হয়। প্রথমে মেয়ে, পরের স্ত্রী এবং অবশেষে মা’য়ের ভূমিকা। এতকিছু করার পরও নিজের জন্য সময় বের করা অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেই কঠিন কাজটাই করে দেখাচ্ছেন শিক্ষিকা মুন্না পাল বাসুলি। বাঁকুড়ার মত জায়গা থেকে মহিলা হয়েও বডি বিল্ডিং করে একটি অনুপ্রেরণার কারণ তিনি। এর পাশাপাশি শখের মোটরসাইকেল রাইডার এই শিক্ষিকা। স্কুটি নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন অন্যতম উচ্চতম মোটরেবল পাস “উমলিং লা”!করেছেন রেকর্ডও।
যদিও প্রথম দিকে একটা স্বপ্ন ছিল বডিবিল্ডিং নিয়ে কিছু করার। কিন্তু সেই স্বপ্ন নিজের শিক্ষিকার দায়িত্ব এবং সংসারের দায়িত্বে চাপা পড়ে গেছে। তবুও হাল ছাড়েননি শিক্ষিকা মুন্না পাল বাসুলি। বাঁকুড়ার শিক্ষিকা বডিবিল্ডার হিসেবে একটি “আইকনিক” চরিত্র হয়ে উঠে এসেছেন তিনি।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়





