নার্সিংহোমে ভর্তি থাকা রোগীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত নিতে এসেছিল ওই দুজন। তাদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি থাকায় সন্দেহ হয় সুপারের। কাটোয়া শহরের এক নার্সিংহোমে ভর্তি থাকা রোগীর আত্মীয় হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে বি পজিটিভ রক্ত নিতে এসেছিল তারা। সুপার পরিদর্শনে এসে হাতেনাতে ধরেন তাঁদের। সুপারের দাবি, ওই রোগী সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি ওঁরা। সেই কারণেই সন্দেহ হয়। দুজনকে ব্লাড ব্যাঙ্কেই আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
advertisement
সুপার শেখ সৌভিক আলম বলেন, " আমি হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে আচমকা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে দুজন রক্ত নিতে এসেছিল। আমি তাদের দুজনকেই জিজ্ঞাসা করি। তাঁরা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন। আমার মনে হচ্ছে, এঁরা রক্তের কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। তাই পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ওদের। এ বার পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।"
আরও পড়ুন : এই ভাইরাল অসুখে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে অসুস্থ শিশুদের
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে দীর্ঘ দিন ধরেই রক্ত কেনাবেচার চক্র সক্রিয় থাকার অভিযোগ উঠছে। সক্রিয় রয়েছে দালাল চক্র। রোগীদের অসহায়তার সুযোগে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। শহরের কোনও নার্সিংহোমে ভর্তি থাকা রোগীর রক্তের প্রয়োজন হলে টাকার বিনিময়ে ওই চক্রের কাছ থেকে রক্ত কিনতে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন : টানা ঝুমকো, চূড়বালা, পাশা আংটি...তিলে তিলে নটী বিনোদিনী হয়ে উঠছেন রুক্মিণী
হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে কেউ রক্ত নিতে গিয়ে ডোনার কার্ড দেখালে এক ইউনিট রক্ত এমনিতেই দেওয়া হয়। মজুত থাকলে বাকিটাও দেওয়া হয়। অথবা রক্তদাতা নিয়ে এসে রক্তদান করার পর প্রয়োজনীয় রক্ত নিয়ে নার্সিংহোমে যেতে পারেন। এই সুযোগেই অনেকেই রোগীর আত্মীয় সেজে ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত সংগ্রহ করে নার্সিংহোমে সংশ্লিষ্ট রোগীর পরিজনদের কাছে মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ।