আরও পড়ুন: দীর্ঘ অপেক্ষার পর জেলায় বৃষ্টি, অবশেষে ধান চাষ শুরু কৃষকদের
ব্লাড ব্যাঙ্কের এই সমস্যায় নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এই প্রসঙ্গে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীরাজ রায় বলেন, পুরো বিষয়টিই স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু হয় ২০১৫ সালে। এখানে রক্ত সংগ্রহ করে রাখার জন্য তিনটি ফ্রিজ ছিল। কোনওমতে একটি ফ্রিজে কাজ চলছে। কিন্তু দেড় মাস ধরে দু’টি ফ্রিজই খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় এখন কাজ করতে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। একটি ফ্রিজে বড়জোর ২৫০-৩০০ প্যাকেট রক্ত রাখা যেতে পারে। মহকুমা হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল বারুইপুর থেকে শুরু করে সুন্দরবনের কুলতলি, জয়নগর, এমনকি বিষ্ণুপুর, মগরাহাটের বাসিন্দারাও।
advertisement
এই বিষয়ে এক চিকিৎসক বলেন, রোজ কোনও না কোনও জায়গায় রক্তদান শিবির হচ্ছে। কিন্তু সেই রক্ত বেশি পরিমাণে নিয়ে এসে ব্লাড ব্যাঙ্কে রাখা যাচ্ছে না ফ্রিজের অভাবে। রক্তদান শিবির থেকে রক্ত সংগ্রহ করে নিয়ে এসে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে পাঠাতে হয়। কারণ, এখানে সেপারেটিং ইউনিট নেই। চিত্তরঞ্জন থেকে রক্ত-উপাদান সেপারেট করে আনতেই দীর্ঘ সময় কেটে যায়। ফলে জরুরি পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় রোগীদের ভীষণ সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।
সুমন সাহা