স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার পাঁশকুড়া স্টেশন বাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে কাজ চলছিল। সেখানেই কাজ করছিলেন দুই ব্যক্তি। সেখানেই একটি পেট্রল ভর্তি ড্রাম রাখা উচিৎ। তার পাশেই লোহার রড কাটছিলেন একজন। সেই সময়ই হঠাৎই অসাবধানবসত আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়ে পেট্রলের ড্রামে। তার ফলেই মারাত্মক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। আগুনে ঝলসে যান দু'জন। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, ওই দুই শ্রমিকের পা প্রায় পুড়েই গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ৩ মার্চ মোদির বারাণসীতে যাবেন, অখিলেশকে পাশে বসিয়ে ঘোষণা মমতার
ঘটনার পরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তদন্তে নেমেছে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। নির্মীয়মাণ বাড়িতে এত পরিমাণ পেট্রল কীভাবে এল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে বাড়িতে কাজ হচ্ছিল, তার মালিককে খুঁজছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পাশেই থানা, সিসিটিভি-র তার কাটা! ফের হাবড়ায় যা ঘটল, আতঙ্কে কাঁপছে এলাকাবাসী
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে ঘটেছিল পার্সেল বোমা বিস্ফোরণ। হেমতাবাদের বাহারাইল এলাকার এক ওষুধ ব্যবসায়ী বাবলু চৌধুরীর হাতে পার্সেল দিয়ে যায় এক টোটো চালক। পার্সেলটি খুলতেই বিস্ফোরণ ঘটে। বহুদুর পর্যন্ত বিস্ফোরণের আওয়াজে কেঁপে ওঠে এলাকা। গুরুতর জখম হন তিন জন। এদিকে, কয়েকদিন আগেই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল একবালপুর এলাকাও। বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল ঘটনায় আহত হয়ছিলেন ছয় জন।