বিজেপির বাঁকুড়া জেলা কমিটি ঘোষণা হতেই দলের অন্দরে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দুক্ষিরানী মুদিকে অবিলম্বে নবনিযুক্ত জেলা সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির নীচু তলার কর্মীদের একাংশ। ক্ষোভ এমন আকার নিয়েছে যে দলের মণ্ডল কার্যালয় তালাবন্ধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব কিছু বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এখানে বৃষ্টি পড়লেই হামলে ঢুকে পড়ে হাতি! আম ও ছালা দুই যাওয়ার জোগাড়
advertisement
বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলায় জেলা সভাপতি পরিবর্তনের পর মঙ্গলবার রাতে নতুন জেলা কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। সেখানে সম্পাদক হিসাবে স্থান পেয়েছেন রানীবাঁধের দুক্ষিরানী মুদি। মূলত তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। রানিবাঁধের বিজেপি কর্মীদের মধ্যেই এই নিয়ে সবচেয়ে বেশি আপত্তি দেখা দিয়েছে।
বিজেপির রানিবাঁধ-২ মণ্ডলের নেতা ও কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের মাত্রা এতটাই যে ওই মণ্ডলের দলীয় কার্যালয়ে তালা দিয়ে দেওয়া হয়।বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দুক্ষিরানী মুদি আগে বিজেপি করলেও ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে দল ধরাশায়ী হওয়ার পর তৃণমূলের পতাকা ধরে বিজয় মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। তৃনমূলে যোগ দেওয়া সেই দুক্ষিরানী মুদিকেই ফের বিজেপির জেলা সম্পাদক পদে বসানো হয়েছে। বিক্ষোভকারী বিজেপি নেতা কর্মীদের দাবি, অবিলম্বে দুক্ষিরানী মুদিকে ওই পদ থেকে অপসারণ করতে হবে। যতক্ষণ না তা হচ্ছে রানিবাঁধ-২ মণ্ডলের দলীয় কার্যালয়ই শুধু বন্ধ থাকবে তাই নয়, ওই মণ্ডলে দলের সমস্ত সাংগঠনিক কাজ করবেন না বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি তাঁরা লিখিতভাবে জেলা নেতৃত্বকেও জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন: এখানে বৃষ্টি পড়লেই হামলে ঢুকে পড়ে হাতি! আম ও ছালা দুই যাওয়ার জোগাড়
এদিকে যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সেই দুক্ষিরানী মুদি তৃনমূলে যোগদানের কথা পরোক্ষে স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, ২০২১ এর নির্বাচনে রানিবাঁধ বিধানসভায় তৃনমূল জয়লাভ করার পর তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছিল। সেই আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে তিনি সেই সময় তৃনমূলের পতাকা ধরেছিলেন। পাশাপাশি তাঁর দাবি, তিনি কোনোদিনই তৃণমূল করেননি। তৃণমূলও দুক্ষিরানী মুদিকে তাদের দলীয় সদস্য বলে মানতে চায়নি। তৃনমূলের কটাক্ষ বিজেপি এখন লোক না পেয়ে যাকে তাকে ধরে পদ দিয়ে দিচ্ছে। তারফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে।