দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে সোমবার মালদহের গাজোল থানা অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু, গাজলের বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন সহ জেলার নেতারা। গত ২৬ অক্টোবর গাজলের বৈরগাছি-২ পঞ্চায়েতের খোলসামারিতে খুন হন বিজেপি কর্মী ধনঞ্জয় সরকার। বিজেপির দাবি, এই ঘটনায় তৃণমূল অঞ্চল প্রধান সুবোধ সরকার জড়িত। কিন্তু পুলিশ তৃণমূল প্রধানকে গ্রেফতার করেনি। পরিবর্তে নিরীহদের গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
advertisement
এই অভিযোগে, সোমবার কয়েকশো কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বিশাল মিছিল সহ গাজোল থানা অভিযান করে বিজেপি। সেখানে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। শেষ পর্যন্ত পুলিশের বাঁধা পেয়ে থানার সামনে বসে পড়েন বিজেপি নেতাকর্মীরা। বেলার দিকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মালদহের গাজোলে। ফের শুরু হয় পুলিশ-বিজেপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি। উল্টে ফেলা হয় পুলিশের গার্ড রেল।
আইসি থানার বাইরে এসে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি না হওয়ায় ফের বিক্ষোভ শুরু হয়। শেষে পাঁচ ঘণ্টা গাজোল থানা অবরুদ্ধ করে রাখার পর মেলে পুলিশের আশ্বাস। অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দেন গাজোল থানার আইসি। অপরাধী ধরার আশ্বাস আদায় করে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানায় বিজেপি। এর আগে একটানা প্রায় পাঁচ ঘন্টা ধরে থানা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে থাকে।
গাজোল থানার আইসি বলেন, "শুধু গাজোল থানা নয়, গোটা মালদা জেলা পুলিশ এই ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। সিনিয়র অফিসারেরা তদারকি করছেন। খুনের ঘটনায় বেশকিছু তথ্যপ্রমাণ ও প্রয়োজন হয়। দ্রুত আসল অপরাধীদের কাছে পৌঁছে যাবে পুলিশ। এমনকি দ্রুত গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।"
আরও পড়ুন, বর্ধমানে বিরাট চমক, বদলে যেতে চলেছে এই এলাকার ছবি
মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, "আইসির কাছে আমাদের একটাই দাবি ছিল, একজন প্রতিবাদী কর্মীকে খুন করা হয়েছে। প্রধানসহ খুনিদের নাম করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরপরও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? সেটাই জানতে এসেছিলাম।"
আরও পড়ুন, 'বাংলা জানে কী করতে হয়', বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার! কুৎসা রুখে দেওয়ার ডাক
আন্দোলনের পর অবশেষে পুলিশের কাছ থেকে অপরাধীকে গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি পেয়ে খুশি নিহতের পরিবার। নিহত বিজেপি কর্মী ধনঞ্জয় সরকারের ভাই প্রহ্লাদ সরকার বলেন, 'পুলিশ যদি প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে পারে, তাহলে আমরা সত্যিই খুশি হব।'