বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হামেশাই বলেন যে, ‘‘সিঙ্গুর আন্দোলনে মানুষের সমর্থন ছিল না, ওটা ছিল শিল্প তাড়ানোর আন্দোলন।’’ সিঙ্গুর থেকে টাটা গোষ্ঠীর বিদায় নিয়ে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করে থাকেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার রতন টাটার প্রয়াণের পর সেই সিঙ্গুরেই আগামীকাল শুক্রবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রতন টাটার ছবি নিয়ে মৌন মিছিল করবে বিজেপি।
advertisement
বলা বাহুল্য, রাজ্যে তখন ক্ষমতায় বাম সরকার। সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানা তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন টাটা গোষ্ঠীর তত্কালীন চেয়ারম্যান রতন টাটা। কিন্তু সেই কারখানার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লাগাতার আন্দোলনের জেরে শেষ পর্যন্ত টাটাদের কারখানা আর গড়ে ওঠেনি সিঙ্গুরে। সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন রতন টাটা। তাঁর মৃত্যুর পর সিঙ্গুরে ফের টাটা কারখানার স্মৃতি উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের। এদিকে ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল ঘটে। রাজনৈতিক মহলের মতে, টাটারা সিঙ্গুরে ছাড়লেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গিয়েছিলেন মহাকরণে। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর কিন্তু কথা রেখেছেন মমতা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জমি ফেরত পেয়েছেন সিঙ্গুরের ‘অনিচ্ছুক’ কৃষকরা। তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যে কোনও শিল্প হয়নি বলে অভিযোগ বারবারই করা হয় রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি নেতৃত্বের তরফে। যদিও রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেই সিঙ্গুরে শিল্প স্থাপনে উদ্যোগী হবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা।
এদিকে বাংলার রাজনৈতিক পালাবদলে এক প্রকার অনুঘটকের মতো কাজ করেছিল সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম আন্দোলন। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে ফের সিঙ্গুর অস্ত্রে শান দিয়ে আসলে শিল্পায়নের বার্তা দিতে চাইছে বঙ্গ পদ্ম শিবির বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। আগামিকাল, শুক্রবার সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে কী বার্তা দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সেদিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহলের।