এই পোস্টের ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে অনুব্রত মণ্ডল কাণ্ডে যখন সাক্ষী হিসেবে শতাব্দী রায়ের নাম তদন্তকারী সূত্রে উঠে আসে তখন বিজেপির অন্যতম জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা নিজের ফেসবুকে তৃণমূলের শতাব্দী রায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। লিখেছিলেন, "শতাব্দী (রায়) যথেষ্ট বুদ্ধিমতী প্লেয়ার, 'পুরনো অভিজ্ঞতার কথা' মাথায় রেখে 'ফুলটস বলে' 'ওভার বাউন্ডারি মারা'র ক্ষমতা রাখেন।"
advertisement
আরও পড়ুনঃ 'দলে চাকর আর বাবু বিভাজন, আমি চাকরের দলে', বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক তাপস! নিশানায় কে?
প্রসঙ্গত, এক তাপসের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আরেক তাপস অস্বস্তিতে শাসকদল। তাপস রায়ের পর এ বার তাপস চট্টোপাধ্যায়। দলের বিরুদ্ধে ফের মুখ খুললেন আরও এক তৃণমূল বিধায়ক। বুধবার নিউটাউনের ইকোপার্কে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে আমন্ত্রণ না পেয়ে বিস্ফোরক রাজারহাট নিউটনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''আমি খুবই মর্মাহত, গতবারও আমাকে জানানো হয়নি।''
এখানেই শেষ নয়, তাপসের সংযোজন, ''দু'বছর ধরেই দলে আমার কোনও স্ট্যাটাস নেই। একটা দলে 'চাকর' আর 'বাবু'। দলে আমার স্ট্যাটাসটা চাকরের কাজ। চাকরদের সম্মান জানিয়ে বলছি, আমি চিরকাল মানুষের স্বার্থে লড়াই করেছি। যারা ২০২১ সালে সাম্প্রদায়িকতাকে সমর্থন করেছিলেন। দিদিকে বেগম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তাঁরা নানা কারণে স্থান পেয়ে যান। স্থান পান না আমার মতো লোকেরা।"
এরপর নিজের সাংগঠনিক দক্ষতার কথা তুলে ধরে তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ এবং অনুপ্রেরণায় একুশের বিধানসভা ভোটে ৫৬ হাজার ভোটে জিতেছি। নিউটাউনের ইতিহাসে কেউ কখনও এত ভোটে জিততে পারেনি।'' তাঁর বিধানসভা এলাকায় হয়ে গেল বিজয়া সম্মিলনী, অথচ তিনিই ডাক না পাওয়া প্রসঙ্গে আরও ক্ষোভ উগরে তাপস বলেন, ''৩৯ বছর ধরে জনপ্রতিনিধিত্ব করছি রাজারহাটে। ৪৬ বছরের রাজনৈতিক জীবন। সেখানে দাঁড়িয়ে আমি সম্মানটাই চাই। কিন্তু আমার কোনও কথা বলার সুযোগ নেই। কীভাবে কথা বলতে হয় দলে, আমার জানা নেই। এবং সিপিএম থেকে আসার পর যদি সততা নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকে, তাহলে কিছু করার নেই।"
VENKATESWAR LAHIRI