জানা যায় মঠবাড়ির একাংশে থাকা গৃহকর্তা সুশান্ত দে তার স্ত্রীকে নিয়ে নবদ্বীপে বাপের বাড়িতে যান। পেশায় তিনি কাঁচামালের ব্যবসায়ী। আরত থেকে কাঁচামাল কিনে সেই মাল বিক্রি করে পরের দিন মহাজনদের আগের দিনের টাকা মিটিয়ে নতুন মাল কিনে আনেন তিনি। বাড়িতে ছিল প্রায় ২৭ হাজার টাকা যার মধ্যে ১৭ হাজার টাকায় মালিকদের দেওয়ার কথা এবং ১০ হাজার টাকা নিজের। এছাড়া কালীপুজোর উদ্দেশ্যে ছিল স্ত্রীর জমানো একটি লক্ষ্মীর ঘট তার মধ্যেও আনুমানিক ছয় সাত হাজার টাকা গচ্ছিত ছিল বলে তিনি মনে করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন – Ranveer Allahabadia: ‘আপনার মাথায় নোংরামি ভরে রয়েছে’ রণবীরকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের, তবে জেল হচ্ছে না
সুশান্ত বাবু জানান চোর এসে প্রথমে দরজার তালা ভাঙে। এরপর বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র তছনছ করে। আলমারি খুলে লকারের চাবি খুঁজে পেয়ে লকার খুলে সুশান্তবাবুর ব্যবসার সমস্ত টাকা নিয়ে এরপর পাশেই রাখা একটি মাটির লক্ষীর ঘট যেটি তারা জমাচ্ছিলেন ঠাকুরের পুজো করার জন্য সেই লক্ষীর ভান্ডার থেকেও সমস্ত টাকা ভেঙে বার করে এবং যাওয়ার সময় সুশান্তবাবুর স্ত্রীর একটি নাইটি নিয়ে চম্পট দেয় চোর।
চুরি করার আগে নিশ্চয় পাপ লাগার ভয়েই বাড়িতে থাকা গোপালের মূর্তিকে আড়াল করে দেয় স্বয়ং চোর
তবে আশ্চর্যের বিষয় বাড়িতে এসে তারা দেখেন গোপাল ঠাকুরের মূর্তিটি ঢাকা রয়েছে।। তিনি জানান হয়তো চোরের চুরি করার সময় ঠাকুর পাপ দেবে এই কারণেই এই কম্মোটি করেছে।
ইতিমধ্যেই শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনা স্থলে পুলিশ এসে প্রাথমিক তদন্ত করে গিয়েছে। এবং এর পাশাপাশি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে গোপালের মুখ ঢাকা এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিষয় বেশ গুরুত্বপূর্ণ তাই পুলিশি তদন্ত চলছে, একটু অন্য ধরনের।
Mainak Debnath