বর্তমানে প্লাবন পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় তিথি-ক্ষণ দেখে নিয়ম নিষ্ঠা মেনেই ভগবানপুরের সোনা ব্যবসায়ী কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হল বিশ্বকর্মা পুজো। জলমগ্ন হয়ে পড়া ভগবানপুরে সেই সময় রাস্তাঘাট ঘরবাড়িতেও জল ঢুকে পড়েছিল। পুরো বানভাসি অবস্থায় মধ্যে অথৈ জলে পড়ে গিয়েছিলেন ভগবানপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষজন। যার ফলে সেই সময় আর বিশ্বকর্মা পুজো করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
advertisement
আরও পড়ুন- 'আমাদের ছেড়ে যাবেন না স্যার'... প্রিয় পুলিশের বদলিতে কেঁদে পড়ল গোটা পান্ডুয়া
ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। জল নেমেছে সব জায়গায়। বন্ধ দোকানপাট খুলতে পেরেছেন ভগবানপুরের ব্যবসায়ীরাও। যদিও আগের সেই আড়ম্বর আয়োজন নয়, অনেকটা অনাড়ম্বর ভাবেই যন্ত্রের দেবতা বিশ্বকর্মার আরাধনায় ব্রতী হয়েছেন ভগবানবানপুরের মানুষজন। বিশ্বকর্মার কাছে নিজেদের নদী ভাঙনের দুর্ভোগ দূর করার আর্জি জানানোর পাশাপাশি করোনার কঠিন সময় কেটে যাক, এই প্রার্থনাও জানাচ্ছেন ভগবানপুরের মানুষজন। শীতের রাতে যন্ত্রের দেবতার পুজো-পাটে মেতেছেন পুর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের মানুষজন।
আরও পড়ুন- আপনি কি 'এই' পৌরসভার বাসিন্দা? ভ্যাকসিনের দুটো ডোজই নেওয়া? বিরাট ছাড় পাবেন...
অসময়ের এই বিশ্বকর্মা পুজোয় অবশ্য উত্সাহ-উদ্দীপনার কোনও খামতি ছিল না। ভগবানপুরের মানুষ হউ-হুল্লোড় করেই পুজো সারলেন। অসময়ের এই পুজো ঘিরে মানুষের মধ্যে উত্সাহের শেষ ছিল না। নির্ধারিত সময়ে পুজো করা যায়নি। সেই সময় পুজো না হওয়ায় এলাকার বহু মানুষের মন খারাপ ছিল। সেই সময় অবশ্য প্লাবনের জন্য পুজো করার মতো পরিস্থিতিও ছিল না। তবে শেষমেশ বিশ্বকর্মা পুজো হওয়ায় ভগবানপুরে খুশির হাওয়া।