TRENDING:

Biryani in Iftar: ১ মাস ধরে বিরিয়ানি, তন্দুরি, ডাল, ফল বিতরণ অগণিতদের মাঝে, বিশদে জানুন কোথায়

Last Updated:

Biryani in Iftar: দিল্লির নবাব বাদশাহর হাত ধরেই যে উপমহাদেশের মূল ভূখণ্ডে এর আগমন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই নবাবি মুর্শিদাবাদেও যে এর বহুল ব্যবহার দেখা যাবে তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কৌশিক অধিকারী, মুর্শিদাবাদ: বিরিয়ানি শব্দটা শুনলেই প্রায় সকলেরই রসনা সিক্ত হয়ে ওঠে। ফারসি বিরিয়ান শব্দ থেকে উৎপত্তি আজকের বিরিয়ানির। এর অর্থ হল সুগন্ধি মশলা সহযোগে রান্নার আগে ভেজে নেওয়া। ইরানি পণ্ডিত তথা ভারত বিশেষজ্ঞ আলবেরুনির লেখাতেও বিরিয়ানির উল্লেখ পাওয়া যায়। কেউ কেউ বলেন,আরব কিংবা তুর্কিদের হাত ধরেই বিরিয়ানির প্রবেশ এই উপমহাদেশে। আবার কেউ বলেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান পত্নী মুমতাজ বাদশার সৈন্যদের ভগ্ন স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের জন্য বাবুর্চিকে হুকুম দেন সুগন্ধি চাল মশলা, ঘি ও মাংস সহযোগে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তৈরি করতে। সেখান থেকেই উৎপত্তি বিরিয়ানির। যাই হোক দিল্লির নবাব বাদশাহর হাত ধরেই যে উপমহাদেশের মূল ভূখণ্ডে এর আগমন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই নবাবি মুর্শিদাবাদেও যে এর বহুল ব্যবহার দেখা যাবে তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই।
ইমামবাড়িতে সাজানো রয়েছে বিরিয়ানি 
ইমামবাড়িতে সাজানো রয়েছে বিরিয়ানি 
advertisement

একসময় লালবাগের নবাবি ইমামবাড়ায় রমজান মাসে রোজাদারদের জন্য ইফতারে বিতরণ করা হত বিরিয়ানি। কিন্তু এখন সেই নবাবও নেই নেই তাঁর রাজ্যপাটও। তাই রোজাদারদের জন্য বরাদ্দ বিরিয়ানির পরিবর্তে দেওয়া হয় তন্দুরি রুটি ছোলার ডাল, ফল ইত্যাদি। যা নেওয়ার জন্য আজও ভিড় করেন  রোজাদাররা। হাতিশালে হাতি, ঘোড়াশালে ঘোড়া, কাছারিবাড়ি, কর্মচারী, পালক বরকন্দাজ নহবতখানা, সুসজ্জিত পুষ্পোদ্যান, অতিথিশালা না থাকলেও রমজান মাসে খাবার বিতরণ আজও প্রথা মেনেই  হয়ে চলেছে।

advertisement

রাজ্যের বৃহত্তম এই ইমামবড়া ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে নবাব নাজিম ফেরাদুন খাঁ-র আমলে তৈরি হয়েছিল। ওয়াসিফ আলি মির্জা রমজান মাসে চালু করেন খাবার দেওয়া। নবাববংশের বর্তমান বংশধর সৈয়দ আলি মির্জা বলেন লন্ডনে পড়াকালীন নবাব ওয়াসিফ আলির পক্ষে রোজা করা সম্ভব ছিল না তাই হাদিসের নিয়ম অনুযায়ী একজন রোজা না করতে পারলে তার পরিবর্তে ষাট জনকে খাওয়াতে হয়। সেই ধারা আজও বহন করে চলেছে সরকার। এখনও রমজান মাসে প্রতিদিন এখান থেকে ইফতারের খাবার দেওয়া হয় সাধারণ মানুষকে।

advertisement

আরও পড়ুন : নোবেল সমতুল হোলবার্গ পুরস্কার এ বছর পাচ্ছেন গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক! বিশ্বমঞ্চে ফের সম্মানিত বাংলা তথা ভারত

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ইউটিউব দেখেই কামাল করছে এই কিশোর, দেখলে আপনিও চোখ সরাতে পারবেন না
আরও দেখুন

১৯৮৫ সালে রাজ্য সরকারের আইন বিভাগ এটি অধিগ্রহণ করে। রমজান মাসে রোজা রাখা ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এখান থেকে রোজ একমাস ধরে খাবার পেয়ে থাকেন। তন্দুরি রুটি, ছোলার ডাল সঙ্গে ফল, আবার কখনও বিরিয়ানি। নবাবি আমলে ষাট জন পেলেও এখন প্রায় ৩০০ জনকে দেওয়া হয় এই খাবার। সারাদিন উপোস করে সন্ধ্যায় ইফতার সারেন নবাব বাড়ির খাবার খেয়ে। যার খরচ রাজ্য সরকার বহন করে। ইমামবাড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা বলেন, রোজার ১৫ তম দিন এবং ২৯ তম দিন ইফতারে বিরিয়ানি দেওয়া হয়। বাকি দিনগুলি ডাল রুটি বিতরণ দেওয়া হয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Biryani in Iftar: ১ মাস ধরে বিরিয়ানি, তন্দুরি, ডাল, ফল বিতরণ অগণিতদের মাঝে, বিশদে জানুন কোথায়
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল