এখানে দেখা মিলেছে রেড ব্রেস্টেড প্যারাকিট নামে সিঙ্গাপুর থেকে আসা এক ঝাঁক রঙিন পাখির। হাজার দেড়েক পাখির একটি ঝাঁককে আকাশে পাক খেতে দেখা গিয়েছে। এই লেসার হুইসিলিং ডাক ছাড়াও ব্রোঞ্জ উইঙ্গড জাকানা, ব্ল্যাক ড্রঙ্গ, লেসার গোল্ডেন বাক, এশিয়ান ওপেন বিল স্টকও রয়েছে কালনার এই জলাশয়ে।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনার ছাড়িগঙ্গায় প্রাথমিক ভাবে ৪৬টি প্রজাতির পাঁচ হাজারেরও বেশি পাখির সন্ধান পেয়েছে বন দফতর। কালনা আদালতের গা-ঘেঁষে ছাড়িগঙ্গায় পাখি গণনার কাজ শুরু করেন কাটোয়ার রেঞ্জার শিবপ্রসাদ সিংহ ও বন দফতরের প্রতিনিধিরা। চুপিচরে চারটি নৌকায় ভাগ হয়ে পাখি গণনা হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন : নম্বরে প্রচুর অসঙ্গতি! এসএসসির টেট কাণ্ডে এবার নয়া মোড়
আরও পড়ুন, ৬ বছর পরেও জানা যায়নি TET-এর ফল! মানিককে ২ লক্ষ টাকার জরিমানার নির্দেশ বহাল
তবে কালনার এই জলাশয়ে নৌকা না চলায় পাড় থেকে দূরবীন, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরার লেন্স দিয়েই গণনা চালানো হয়। বন দফতরের দলের সঙ্গে ছিলেন কালনার মহকুমাশাসক সুরেশকুমার জগৎ, কালনার উপপুরপ্রধান তপন পোড়েল। শুধু জলাশয় নয়, আশেপাশের গাছগুলিতেও কোন কোন পাখি রয়েছে, তা খুঁটিয়ে দেখেন তাঁরা।
উপ পুরপ্রধান তপন পোড়েল বলেন, এবারই প্রথম পরিযায়ী পাখি কালনায় এলো। এত পরিযায়ী পাখি দেখা যাবে ভাবা যায়নি। কিছু জায়গায় জল কম রয়েছে। প্রয়োজনে ভাগীরথী থেকে নালা কেটে জল ঢোকানো হবে ছাড়িগঙ্গায়।
ছাড়িগঙ্গা ঘিরে পাখিরালয় গড়ে উঠলে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তাই পাখিদের থাকার অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট প্রশাসন, পুরসভা, বন দফতর সকলেই। এবার এই পরিযায়ী পাখিদের টানে কালনায় এসেছেন অনেকেই। তাই সেই সব পর্যটকদের জন্য এই এলাকাকে আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার ভাবনাচিন্তা করছে প্রশাসন।