কলকাতা: সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতায় ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছেন বলে জরিমানা দিতে হবে না। এমনটা মোটেই হবে না। সোমবার প্রাথমিক টেট সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবীকে সাফ এই কথা জানিয়ে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
২০১৪ সালের টেট-এ অংশ নেন মালারানি পাল। কিন্তু ওই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন কি না, পর্ষদ তা জানায়নি বলে অভিযোগ। মামলাকারীর বক্তব্য, টেট-এর ফল জানতে না পারায় ২০১৬ এবং ২০২০ সালের দু'টি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি তিনি। এর ফলে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। এরপরে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে ২০১৪ টেট-এর ফলপ্রকাশ হলে দেখা যায়,পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মায়ারানি পাল।
আরও পড়ুন: বাঙালির বিরুদ্ধে বেফাঁস মন্তব্য! মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে গেলেন পরেশ রাওয়াল
৬ বছরেও একজন পরীক্ষার্থীকে ফল না জানানোয় জরিমানার কোপে পড়েন তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। মানিককে ২ লক্ষ জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়।
এরপরে সেই রায়ের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন মানিকের আইনজীবী। মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী জানান,পর্ষদের কোনও ভুলের জন্য সভাপতি দায়বদ্ধ নয়। তাঁদের আর্জি, ২ লক্ষ চাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ আপাতত মুলতবি রাখুক সিঙ্গেল বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: ডি লিট পাচ্ছেন মমতা! আজ সেন্ট জেভিয়ার্সের সমাবর্তনে নতুন সম্মান
যদিও সেই আবেদন ফিরিয়ে জরিমানা নির্দেশ বহাল রাখলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। বিচারপতি বলেন, "৭ দিনের মধ্যে জরিমানা টাকা দিতে হবে মানিককে। হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল কাছে টাকা দিতেই হবে মানিককে। শর্ট টার্ম ডিপোজিট গচ্ছিত থাকবে টাকা। ডিভিশন বেঞ্চে মামলার ফল মানিকে পক্ষে গেলে সুদ-সহ টাকা ফেরত পাবেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি।"
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ,পরীক্ষা দিয়ে ফল জানার অধিকার প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর রয়েছে। কিন্তু পর্ষদের শীর্ষপদে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, তাঁর জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kolkata High court, Primary TET, TET