জেলা সদর শহর হয়েও সিউড়ি থেকে কলকাতাগামী ট্রেনের সংখ্যা মাত্র তিনটি। ভোর ৫টা ৫ মিনিটে একটি ট্রেন, সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ময়ূরাক্ষী এক্সপ্রেস এবং তৃতীয় ট্রেনটি দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে। এর বাইরে দীর্ঘ সময় আর কোনও ট্রেন নেই। ফলে নিয়মিত কর্মসূত্রে কলকাতায় যাতায়াতকারী মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আরও আশ্চর্যের বিষয়, সিউড়ি-বোলপুর রুটে একটিও ট্রেন নেই।
advertisement
শহরবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনিক সদর দফতর হওয়া সত্ত্বেও যোগাযোগ ব্যবস্থায় সিউড়ি জেলা অন্যান্য মহকুমা শহরের তুলনায় পিছিয়ে। বিশেষ করে রেল যোগাযোগ অত্যন্ত দুর্বল। বাসের উপর নির্ভর করেই যাতায়াত করতে হয় অধিকাংশ মানুষকে।
সিউড়ির সমাজকর্মী মোশারফ হোসেন বলেন, “স্টেশনের পরিকাঠামো নিঃসন্দেহে উন্নত হয়েছে। লিফ্ট, ডিসপ্লে দরকারি, কিন্তু স্টেশন তো মূলত ট্রেনের জন্য। যখন ট্রেনই নেই, তখন এই সব সুবিধা মানুষের খুব একটা কাজে আসছে না। ডিসপ্লেতে দেখার মতো ট্রেনের সংখ্যাই তো নেই। আগে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো দরকার।”
একই সুর শোনা গিয়েছে সিউড়ির বাসিন্দা প্রিয়নীল পালের কণ্ঠেও। তাঁর কথায়, “সিউড়ির যোগাযোগ ব্যবস্থা বরাবরই দুর্বল। রেল যোগাযোগ সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলেও দীর্ঘদিন ধরে আমরা অবহেলিত। কলকাতাগামী মাত্র তিনটি ট্রেন, তাও ঘুরপথে যেতে হয়। সময় নষ্ট হয়। অন্তত সিউড়ি-রামপুরহাট বা সিউড়ি-বোলপুর রুটে লোকাল বা কানেক্টিভ ট্রেন বাড়ানো হলে মানুষের শিক্ষাগত, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ও কর্মসূত্রে যাতায়াত অনেক সহজ হবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয়দের দাবি, স্টেশনের বর্তমান পরিকাঠামো আরও বহু ট্রেন সামলাতে সক্ষম। কিন্তু ট্রেন না থাকায় সেই সুবিধার পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না। তাই অমৃত ভারত প্রকল্পে স্টেশনের উন্নয়নের পাশাপাশি সিউড়ি থেকে কলকাতা, রামপুরহাট, বোলপুর-সহ সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর জোরালো দাবি উঠছে শহরজুড়ে।





