মূলত বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ট বীরভূমের বাসিন্দারা। তবে গত তিন দিনে বিকেলের পর ভারী এবং মাঝারি বৃষ্টিপাতের ফলে রাতে কিছুটা স্বস্তির আবহাওয়া থাকলেও সকাল হতেই আবার সেই ভ্যাপসা গরম। ফলে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে তারাপীঠ। সাধারণত স্কুলে গরমের ছুটি পড়লে তারাপীঠে উপচে পড়ে পর্যটক,সেখানে তারাপীঠ মন্দিরে ভিড় নেই।
advertisement
খাঁ খাঁ করছে মন্দির চত্বর। হোটেল, রিসর্ট, লজ, সরকারি অতিথি নিবাস কার্যত জনশূন্য। নতুন করে বুকিং তো দূর, পুরনো বুকিংই বাতিলের হিড়িক পড়েছে। কয়েকদিন ধরে সূর্যের প্রখর তাপে পুড়ছে লালমাটির জেলা বীরভূম। তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ডিগ্রি সেলসিয়াস-এর কাছাকাছি। মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ফি বছর এই সময়ে ৫০-৬০ হাজার ভক্তের সমাগম হয়। কিছুদিন আগে পর্যন্ত সেই ভিড় ছিল।স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করায় ভেবেছিলাম ভিড় বজায় থাকবে। কিন্তু দিন কয়েকের তাপপ্রবাহে পর্যটকদের আনাগোনা নেই বললেই চলে।
বিগত তিনদিনে বৃষ্টিপাত হলেও সকাল ৯ টা বাজতেই আবার সেই ভ্যাপসা গরম। অনেকেই হোটেল বুকিং বাতিল করেছেন। তাই মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের আর ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে তারাপীঠer হোটেলে দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ছাড়। এর আগে গ্রীষ্মেও পর্যটকরা আসতেন। দিনের বেলা পর্যটকরা হোটেলের এসি ঘরে বন্দি থাকলেও বিকেলের পর মন্দিরে পুজো দিতে আসতেন। কিন্তু দিন কয়েকের তাপপ্রবাহের কারণে পর্যটকরা আর সেভাবে আসতে চাইছেন না।
ফলে পর্যটন ক্ষেত্রে এখন মন্দা। মাথায় হাত লজ ব্যবসায়ীদের। লজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুনীল গিরি বলেন, ” গরমে লজ ব্যবসার অবস্থা বেহাল। অধিকাংশ রুম ফাঁকা। যাঁরা রুম বুক করেছিলেন, তাঁরাও বুকিং বাতিল করছেন। অন্যান্য বছর গ্রীষ্মে যত পর্যটক থাকে এবার তা নেই। তাই এবার আপনি চাইলে এই সময় চলে আসুন বীরভূমের তারাপীঠ মা তারার মন্দির।”
সৌভিক রায়