শনিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৌশিক দত্ত সহ উপস্থিত সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতে নিজের শিল্পকর্মটি তুলে দেন অর্পণ। দেড় মাসের পরিশ্রমে তিনি প্রায় প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলেন মাটির সরার ওপর। শিক্ষকদের হাতে এই অনন্য উপহার তুলে দিয়ে তিনি শুধু শ্রদ্ধায় জানাননি, বরং নিজের শিল্পকর্মের মাধ্যমে গভীর ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় মৃত বন্ধুকে রাস্তায় ফেলে পালাল আরেক ‘বন্ধু’! অমানবিক ঘটনা, হতবাক গোটা গ্রাম
অর্পণের বাবা মৃত্যুঞ্জয় লোহার, যিনি পেশায় দেওয়ালচিত্র শিল্পী ও গৃহশিক্ষক, ছোটবেলা থেকেই তাকে আঁকার হাতেখড়ি দিয়েছেন। বাবার অনুপ্রেরণাতেই অর্পণ নিজে নিজেই শিল্পকলায় দক্ষ হয়ে ওঠে। এই অনন্য উদ্যোগ সম্পর্কে অর্পণ জানায়,
“দু’বছর আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম। গত বছর করতে পারিনি, কারণ সময়ের অভাব ছিল। এই বছরই ভাবলাম যে এই সুযোগটা হাতছাড়া করা যাবে না। বাজার থেকে কেনা সাধারণ উপহার না দিয়ে আমি চেয়েছিলাম একটা ইউনিক কিছু করতে। তাই মাটির সরায় শিক্ষকদের প্রতিকৃতি এঁকে তাঁদের উপহার দিলাম। এই ছবিগুলো বানাতে লেগেছে ১ মাস ১০ দিন।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উপহার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বীরভূমের ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৌশিক দত্ত বলেন, “একটা প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা এই ছাত্রটি নিজের প্রতিভা দিয়ে আমাদের গর্বিত করেছে। ছবিগুলো অসাধারণ। আমরা আশীর্বাদ করছি, ও আরও অনেক দূর এগিয়ে যাক এবং আঁকা নিয়ে পড়াশোনা করুক।”
সহ শিক্ষক দিব্যেন্দু চ্যাটার্জী, শিক্ষিকা নবনীতা দাস ও মোনালিসা ধারা একবাক্যে জানান, অর্পণের এই উপহার তাঁদের প্রাপ্ত জীবনের সেরা উপহার। পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও শ্রদ্ধা মিলিয়ে তৈরি এই অভিনব সম্মাননা তাঁরা কখনওই ভুলবেন না।