পুলিশি তল্লাশিতে তার বাড়িতে বিকৃত কামের একাধিক প্রামাণ মিলেছে। সেক্সটয়, যৌন ক্ষমতাবর্ধক ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া পেনড্রাইভ-সহ নানা সামগ্রীও পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃত ওই স্কুল শিক্ষক বিকৃতমনস্ক।
নিহত আদিবাসী সপ্তম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী গত ২৮ অগাস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের অভিযোগ, স্কুলেরই পদার্থবিদ্যার শিক্ষক ওই ছাত্রীকে অপহরণ করেছে। পরিবারের দাবি, এর আগে প্রায়ই বছর ৪৫-এর ওই শিক্ষক ছাত্রীর শরীরে হাত দিত। পেশায় প্রাথমিক স্কুলশিক্ষিকা স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় ওই শিক্ষক একাই থাকত। ওই ছাত্রীকে বিয়ে করারও প্রস্তাব দিয়েছিল একাধিকবার বলে অভিযোগ পরিবারের।
advertisement
পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ শিক্ষককে থানায় নিয়ে এলেও সে ছাত্রীর ব্যাপারে কিছুই জানে না বলে দাবি করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, কিছুদিন আগে এলাকারই এক আদিবাসী গৃহবধূর সঙ্গে মেলামেশা শুরু করেছিল সে। বধূর পরিবার তা জানতে পেরে কয়েকজনকে নিয়ে এসে ওই শিক্ষককে মারধরও করে। পরে ওই বধূকে আত্মীয়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের তরফ থেকে। ওই বধূকে থানায় নিয়ে এসে জেরা করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অভিযুক্তের বিকৃতকামের আরও কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে। উদ্ধার হওয়া পেনড্রাইভ ও সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক বর্তমানে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাবালিকা অপহরণ ও খুনের ঘটনায় স্বামীর নাম জড়িয়ে যাবার খবর পেয়ে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের ফোন করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, ওর স্ত্রী বলেছে মনোজ খুব খারাপ মানুষ। ওর সঙ্গে থাকা অসম্ভব বলেই ডিভোর্স হয়েছে। অন্যদিকে, সকাল থেকেই উত্তপ্ত মৃত নাবালিকার বারোমেশিয়া গ্রাম। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।