তাই শুধু প্রয়োজনেই মোবাইল ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি বেশি ব্যবহারের ফলে কুফল জানাতে একটি শিবিরের আয়োজন করল রামপুরহাটের শরদিন্দু মজুমদার বিদ্যায়তন। স্কুলের শিক্ষিক-শিক্ষিকা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহকুমা বিদ্যালয় পরিদর্শক গোলাম কিবরিয়া। জানা যায়, ওই স্কুলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত আনুমানিক প্রায় সাড়ে ৩০০ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। কয়েকমাস ধরে শিক্ষকরা লক্ষ্য করেন, দিনের পর দিন পড়াশোনার প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের মনোযোগ ক্রমশ কমছে।
advertisement
ভাল রেজাল্ট করা পড়ুয়ারা পরবর্তীতে খারাপ ফলাফল করছে। তবে এর পিছনে মোবাইলই যে দায়ী, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয়নি শিক্ষকমহলের। মোবাইলে নানা ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ এবং অ্যাপভিত্তিক গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা। তাদের শারীরিক বা মানসিক সমস্যার সঙ্গে পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে। স্কুলে বা বাড়িতে আচার-আচরণও বদলে যাচ্ছে। আর সেই কারণেই কিছুদিন আগে পড়ুয়াদের স্কুলে মোবাইল নিয়ে আসা নিষিদ্ধ করেন তাঁরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কিন্তু স্কুলের নির্দেশের পরেও অনেকে লুকিয়ে মোবাইল নিয়ে আসছে। তাই অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করতে পড়ুয়াদের সচেতন করেন শিক্ষকরা। শুধু তাই নয় প্রোজেক্টরের মাধ্যমে পড়ুয়াদের বোঝানো হয় অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার জন্য কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে। টিআইসি অনিতসুন্দর দাস পড়ুয়াদের বোঝান, স্মার্টফোন থেকে নির্গত রেডিয়েশন মস্তিষ্ক, কান-সহ নানা অঙ্গের ক্ষতি করে। স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার সময়ে তা আরও ক্ষতিকর। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার ক্যানসারের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়। যদিও স্কুলের শিক্ষকদের দাবি শুধুমাত্র স্কুলেই প্রশিক্ষণ দিলে চলবে না বাড়ির অভিভাবকদের কেউ নিজেদের ছেলে মেয়েদের বোঝাতে হবে যেন অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার না করে।






