গল্পের শুরু বীরভূমের সৃজন শিক্ষা নিকেতনে। এই গৃহবধূ বীরভূমের সৃজন শিক্ষা নিকেতনে এসেছিলেন তাঁর নিজের ছেলেকে আঁকা শেখানোর জন্য। তবে শিক্ষার কোনও শেষ নেই।আপনার মনের মধ্যে ইচ্ছা শক্তি থাকলে যে কোনও বয়সেই শিক্ষা অর্জন করতে পারেন।তাই ছেলেকে আঁকা শেখানোর জন্য নিয়ে এসে কোথাও গিয়ে এই আঁকার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিলেন এই গৃহবধূ। একদিন তাঁর কাছে তাঁর ছেলে আবদার করে একটি ‘মটু পাতলু’র ছবি দেওয়ালে এঁকে দেওয়ার জন্য। এরপরেই তাঁর ইচ্ছাশক্তি যেন আরও কিছুটা বেড়ে যায়। না শিখতেই গৃহবধূর আঁকা সেই ছবি দেখে ভাল লেগে যায় গৃহবধূ পলি ঘোষের স্বামীর।এরপরই স্বামীর ইচ্ছা এবং পরিবারের সহযোগিতায় প্রায় তিন বছর ধরে ছেলেকে আঁকা শেখানোর পাশাপাশি নিজেও প্রত্যেক সপ্তাহে রবিবার রবিবার স্কুলে আঁকা শিখছেন পলি।
advertisement
পলি ঘোষের কথায় অনেকেই বিয়ের পর নিজের পরিবার পরিজন নিয়ে মেতে পড়েন নিজের মনের ইচ্ছেকে বিসর্জন দিয়ে। তবে শেখার কোনও বয়স নেই আর শেখার কোনও শেষ নেই এ বার্তা নিয়েই তিনি তার ছেলের সঙ্গে আঁকা শিখতে আসেন এই স্কুলে।
অন্যান্য গৃহবধূদের তিনি বার্তা দিয়েছেন স্বনির্ভর হওয়ার জন্য, বলেছেন সমাজের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য নিজেকে স্বাবলম্বী হওয়া প্রয়োজন। পলি ঘোষ আরও জানান শুধুমাত্র স্কুলে আঁকা শেখা নয়,আগামী দিনে জাতীয় স্তরে অঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চান তিনি। তার এই ইচ্ছা শক্তিকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সৌভিক রায়