কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, গ্রামে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলা বা কল রিসিভ করা কার্যত অসম্ভব। কারণ, এলাকায় নেই কোনও মোবাইল টাওয়ার বা নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। ফলে জরুরি প্রয়োজনে, বিশেষ করে অসুস্থতা বা প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে বাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্স ডাকারও উপায় থাকে না। তখন কয়েকশো মিটার দূরের ফাঁকা মাঠে গিয়ে সাহায্য চাওয়াই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায় গ্রামবাসীদের। এই পরিস্থিতিতেই প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে ব্লক স্তরে চালু হয়েছে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাকেন্দ্র।
advertisement
আরও পড়ুন: স্ত্রীর জন্য বাঘের সঙ্গে লড়াই, চোখে চোখ রেখে জান লড়িয়ে দিলেন স্বামী! শেষে রণে ভঙ্গ, লেজ গুটিয়ে ছুট
সেই পরিষেবার আওতায় এবার বাবুইজোড় পঞ্চায়েতের পেঁচালিয়া গ্রামে পৌঁছল ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা গাড়ি। এদিনের স্বাস্থ্য শিবিরে প্রায় শতাধিক মানুষ চক্ষু পরীক্ষা সহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি বিনামূল্যে ঔষধ, চশমা, রক্ত পরীক্ষা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ পান গ্রামবাসীরা। শিবির শেষে নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মুখ্য চিকিৎসক ডা. সৈয়দ সঞ্জয় হোসেন জানান, ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা গাড়ির মধ্যেই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রয়োজনীয় স্টাফরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
হাসপাতালের বহির্বিভাগে যে পরিষেবাগুলি সাধারণত পাওয়া যায়, সেগুলিই মূলত এদিন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ই-রেজিস্ট্রেশন, ল্যাপটপ ও প্রিন্টারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাজ, রক্ত পরীক্ষা, রক্তের নমুনা সংগ্রহ, ইসিজি এবং বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ। তাঁর মতে, প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় এই পরিষেবা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা নেবে। ডিজিটাল পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হলেও, অন্তত চিকিৎসা পরিষেবায় আর পিছিয়ে থাকতে হবে না, এমনটাই আশা পেঁচালিয়ার বাসিন্দাদের।





