অভিযোগকারী টোটো চালক নাদিম, তার দু’ই সঙ্গী শেখ ইয়াসিন ও শেখ আফরোজ ওরফে হাফিজকে গ্রেফতার করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, তিন জন মিলে পরিকল্পনা করে এই ছিনতাই নাটক সাজিয়েছিল।
পুলিশ ও আইনজীবী সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ির মেটেগ্রামের মুদির দোকানদার সঞ্জীব মণ্ডল শুক্রবার সকালে দোকানের মালপত্র কিনতে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন টোটো চালক নাদিমকে। নাদিম দুবরাজপুরে গিয়ে ফেরার পথে সঞ্জীবকে জানায়, সাতকেন্দুরি পাওয়ারহাউসের কাছে দু’ই মোটরবাইক আরোহী তার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে। পরের দিন নাদিম থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করে।
advertisement
তদন্তে পুলিশের খটকা লাগে। জনবহুল এলাকায় টোটো চালানোর সময় ছিনতাই কীভাবে সম্ভব, সেই বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। নজরদারি ক্যামেরা খতিয়ে দেখে পুলিশ। ছিনতাইকারীদের মোটরবাইকের নম্বর উদ্ধার করে এবং জানতে পারে, ইয়াসিন ও আফরোজ অন্যের বাইক নিয়ে দুবরাজপুরে এসেছিল। তিন জনেরই বাড়ি কুখুডিহি গ্রামে। এর পর পুলিশ নিশ্চিত হয়, ছিনতাইয়ের ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো।
রবিবার রাতে পুলিশ তিন জনকেই গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয়েছে ৯৩টি ৫০০ টাকার নোট এবং নাদিমের মোবাইল। পুলিশ তিন জনকেই নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। তবে দুবরাজপুর আদালত নাদিমকে জামিনে মুক্তি দিলেও ইয়াসিন ও আফরোজকে দুদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- চোখ ফেরানো দায়! কিন্তু বার্নপুরের এই মণ্ডপে প্লাস্টিকের দেখা পাবেন না
দুবরাজপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী রাজেন্দ্রপ্রসাদ দে জানান, অভিযোগকারী নাদিমকেও অভিযুক্ত হিসেবে দেখানোয় আইনগত কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাই আদালত তাকে জামিন দিয়েছে।” এই সাজানো ছিনতাই কাণ্ডে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের পরিকল্পিত প্রতারণার ঘটনায় ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।